মালদহ: বইমেলা এখন শুধুই তৃণমূলের কিছু তল্পিবাহক, ফাইফরমাশ খাটা লোকেদের জন্য, শিক্ষক, অধ্যাপক, সাহিত্যিকরা আর আমন্ত্রণ পান না। বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তৃণমূলের মালদহ জেলার সহ সভাপতি দুলাল সরকার। মালদহ জেলা বইমেলা নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। এরই মধ্যে প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। বইমেলা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীও। দুলাল সরকারের অভিযোগ, জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠ কিছু লোকজনকে এই কমিটিতে রাখা হয়েছে। কিন্তু শিক্ষিত মানুষদের ডাকা হয় নি।
মঙ্গলবার বইমেলা প্রসঙ্গে দুলাল সরকার দাবি করেন, ওই তৃণমূল নেতা কর্মীদের জন্যেই তিনি বইমেলা যান নি। এড়িয়ে গেছেন। তাঁর সাফ কথা, ওঁদের পাশে তিনি থাকতে পারবেন না। কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী আবার দায় চাপিয়েছেন বইমেলা কমিটির ওপর। কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী এই প্রসঙ্গে বলেন, “কোনও গোষ্ঠীর জন্য তো বইমেলা নয়, যাঁরা বইয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, তাঁদের জন্য বইমেলা। একটি কমিটি আছে, তারা কী করবে না করবে, সেটা তাদের ব্যাপার।”
বিজেপি নেতা অম্লান ভাদুড়ি আবার অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তাঁর দাবি, অবৈধভাবে টাকা তোলার জায়গা হল এই বইমেলা। এই বছর মালদহ কলেজ ময়দানে এই বইমেলা হচ্ছে। ৩৫ বছরে পদার্পণ করেছে এই বইমেলা।