
মালদহ: একুশে জুলাই উপলক্ষে কলকাতা যাচ্ছিলেন তৃণমূল কর্মীরা। পথে তাঁদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর স্টেশনে বিরিয়ানি দিচ্ছিলেন জেলা পরিষদ সদস্যা মর্জিনা খাতুন। কিন্তু সেই বিরিয়ানি দেওয়াকে কেন্দ্র করে বেঁধে গেল বচসা। হুড়োহুড়ি, ধাক্কা ধাক্কি কী হল না সেখানে।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে শেষ একুশে জুলাই। স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বাড়তি উৎসাহ। পাশাপাশি দলের নজরে আসতে প্রত্যেকেই চেষ্টা করছে বড় সংখ্যক কর্মী নিয়ে যাওয়ার। উত্তরবঙ্গ থেকেও এবার বড় সংখ্যার কর্মী নিয়ে যাওয়ার টার্গেট নিয়েছে শাসকদল।
মালদহে শনিবার থেকেই কর্মীদের নিয়ে যাচ্ছেন নেতারা। শনিবার রাতে হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকা থেকে দু’টি মিছিল যাচ্ছে স্টেশনের উদ্দেশ্যে। একদিকে জেলা পরিষদ সদস্য তথা ব্লক তৃণমূল সভাপতি মর্জিনা খাতুন প্রায় পাঁচ শতাধিক কর্মী নিয়ে যাচ্ছেন ধর্মতলার উদ্দেশ্যে। মিছিল করে হরিশ্চন্দ্রপুর স্টেশন গিয়ে তারপর ট্রেনে রওনা দেবেন তাঁরা। অন্যদিকে স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেনের নেতৃত্বে আরও একটি মিছিল যাচ্ছে স্টেশনে। তাঁরাও রেল পথেই যাবেন কলকাতার উদ্দেশ্যে। হরিশ্চন্দ্রপুর স্টেশনে রাতের খাবারের জন্য কর্মীদের বিরিয়ানি দিচ্ছিলেন মর্জিনা। স্টেশন চত্বরেই চলছিল বিরিয়ানি বিতরণ। সেই সময় হুড়োহুড়ি পড়ে যায়।
বিধায়ক তাজমুল হোসেন বলেনে, “হাজার-হাজার কর্মী যাচ্ছে মালদহ থেকে। ভোটের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে কী বার্তা দেন সেই দিকেই তাকিয়ে আমরা।” প্রচুর তৃণমূল কর্মী হাজির হয়েছেন। একুশে জুলাই মানেই হল আবেগ। আমরা সারা বছর তাকিয়ে থাকি কবে একুশে জুলাই আসবে।”