
মালদহ: বিজেপি শাসিত রাজ্যে চলছে বাঙালি নিগ্রহ। যা নিয়ে বারেবারে সরব হয়েছে তৃণমূল। এই আবহের মধ্যে ফের একবার গুরুতর অভিযোগ। এবার বাংলাদেশি সন্দেহে মালদহের পরিযায়ী শ্রমিক আটক হরিয়ানায়। গুরুগ্রাম পুলিশের হাতে আটক তারা। থানায় তুলে এনে পুলিশি নিগৃহ ও হেনস্থার অভিযোগ তুলে সরব পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবার। বিজেপি শাসিত রাজ্যের একের পর পরিযায়ী শ্রমিক কে বাংলাদেশি সন্দেহে নিগ্রহের ঘটনা সামনে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন গ্রামের সাধারণ মানুষ। চাঞ্চল্য মালদহের চাঁচল থানার চন্দ্রপাড়া গ্রামে। বস্তুত, এর আগে মহারাষ্ট্র, দিল্লি থেকেও একই অভিযোগ এসেছিল।
জানা গিয়েছে, মালদহের চাঁচল ১ ও চাঁচল ২ ব্লকের প্রায় ৮ জন পরিযায়ী শ্রমিক হরিয়ানার গুরগাঁওতে আটক। থানার অদূরে ওই শ্রমিকদের একটি ঘরে আটকে রাখা হয়েছে বলে দাবি। আটক শ্রমিকদের মধ্যে রয়েছেন মালদহের চাঁচল ২ ব্লকের চন্দ্রপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সায়েদ আলী এবং লালটু হোসেন। হারিয়ানার গুরগাঁওতে শ্রমিকের কাজ করেন তাঁরা।
অভিযোগ, গত রবিবার হঠাৎই সেখানকার পুলিশ তাঁদের ভাড়া বাড়িতে তল্লাশি চালায়। আধার কার্ড সহ একাধিক সচিত্র পরিচয় পত্র নিয়ে লালটু হোসেন এবং সাইদ আলিকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরিবারের অভিযোগ, বাংলা ভাষায় কথা বলার জন্য তাদেরকে আটক করে নিয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে চাঁচোল থানার চন্দ্রপাড়া ছাড়াও চাঁচল ১ নং ব্লকের মুলাইবাড়ির আনেসুর রহমান, আলম আলি, কিসমতপুরের দুই ভাই নাজিমুল হক, হবিবুর রহমান, শ্রীপতিপুরের নুর আলম ও বাকিপুরের মুকুল হোসেন রয়েছেন আনেসুরের জামাই আলম রয়েছেন হারিয়ানা পুলিশের জালে আটক। প্রবল উৎকণ্ঠায় তাদের পরিবার এবং প্রতিবেশী। বাংলাভাষী হওয়ায় তাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে দাবি পরিজনদের। আটক হওয়া পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবার মৌসুমী খাতুন বলেন, “আমার কাকু রুমে বসেছিল। হঠাৎ পুলিশের গাড়ি এল। তারপর রুমে ঢুকে বলছে চলো তোমায় যেতে হবে এখান থেকে। আধার কার্ড দেখাও। আমার কাকু বাংলায় কথা বলেছে বলেই নিয়ে গেছে।”