
মালদহ: তীব্র গরমে নদীতে স্নান করতে গিয়ে আর বাড়ি ফেরা হল না দুই বন্ধুর। স্নান করতে নামার কিছু সময়ের মধ্যেই তলিয়ে যায় দুই কিশোর। চাঞ্চল্যকর ঘটনা মালদহের রতুয়া থানার বাহারাল এলাকায়। বেশ কিছু সময় ধরে খোঁজাখুঁজির পরেও প্রথমে তাদের দেখা মেলেনি। তবে শেষ পর্যন্ত স্থানীয় বাসিন্দারই ইমরান সবজি ও শেখ বাপি নামে দুই কিশোরের নিথর দেহ উদ্ধার করে।
এরমধ্যে ইমরানের বয়স ১৪। এলাকারই একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। অন্যদিকে শেখ বাপির বয়স ১৫। সেও একই স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র। দু’জনেরই বাড়ি কসবা গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে এদিন দুপুরের দিকে দুই বন্ধু মিলে ড়ি থেকে কিছুটা দূরে বাহারাল নুরপুর ব্রীজের কালিন্দ্রী নদীতে স্নান করতে নামে। কিন্তু, কে জানত সেখানেই তাঁদের জন্য অপেক্ষা করে আছে বড় বিপদ।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, জলে নামার কিছু সময়ের মধ্যেই দু’জনে তলিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গেই স্থানীয় কিছু বাসিন্দা তাঁদের উদ্ধার করতে জলে ঝাঁপ দেয়। খবর দেওয়া হয় কিশোরদের বাড়িতে। খবর পেয়ে নদীর পাড়ে ছুটে আসেন পরিবারের সদস্যরা। শেষ পর্যন্ত অনেক খোঁজাখুঁজির পর স্থানীয় বাসিন্দারাই তাঁদের উদ্ধার সমর্থ হন। কিন্তু, শেষরক্ষা হয়নি। রতুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা দু’জনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন। গোটা ঘটনায় শোকের ছায়া এলাকায়। ইতিমধ্য়েই ময়নাতদন্তের জন্য দুই কিশোরের দেহ মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
অন্যদিকে এদিনই আবার মালদহে গঙ্গায় স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে গেল চার যুবক। এখনও পর্যন্ত দু’জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও বাকি দু’জনের খোঁজ পাওয়া যায়নি। প্রত্যেক যুবকেরই বাড়ি নদিয়ার মাঝদিয়া রেল বাজার এলাকায়। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটে নবদ্বীপ শ্রীবাসঅঙ্গন গঙ্গার ঘাটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনী। আসে নবদ্বীপ থানার পুলিশ।