স্কুলের সামনে চারটি বন্দুক হাতে ‘উল্লাস’! ভয়ঙ্কর ছবি মানিকচকে, আগ্নেয়াস্ত্র কি এতই সস্তা!
Malda: সূত্রের খবর, একটি ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার আগে উদ্বোধনে এভাবে শূন্যে গুলি চালানো হয়। বৃহস্পতিবারই পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চলে মালদহে। আর তারপরই প্রকাশ্যে এল এই ছবি।
মালদহ: দুলাল সরকার খুন হওয়ার পর একমাসও কাটেনি গুলিতে আক্রান্ত হয়েছে পুলিশ। বাংলার গ্রামে গ্রামে কীভাবে এত আগ্নেয়াস্ত্র পৌঁছচ্ছে, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এরই মধ্যে সামনে এল চাঞ্চল্যকর ছবি। স্কুলের মাঠে একাধিক ব্যক্তির হাতে বন্দুক। উপর দিকে তাক করে গুলি চালাচ্ছে তারা! মালদহের মানিকচকের এই ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে বড় প্রশ্ন সামনে আসছে।
শূন্যে একাধিক গুলি চালিয়ে ভলিবল টুর্নামেন্টের সূচনা অনুষ্ঠান হল মালদহের মানিকচকে। ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই নুরপুর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, ক্লাবের ছেলেরাই ওইভাবে শূন্যে গুলি চালিয়েছে। মাঠে তখন উপস্থিত ছিলেন বহু মানুষ। তার মধ্যে এভাবে গুলি চালানোয় ঘটে যেতে পারত বড়সড় বিপদ। শুধু তাই নয়, প্রশ্ন উঠেছে, এতগুলি আগ্নেয়াস্ত্র ক্লাবের ছেলেদের হাতে উঠলই বা কী করে! বন্দুক কি এতটাই সহজলভ্য?
নুরপুর টিপটপ ক্লাব অ্যান্ড লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার একটি ভলিবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছিল। নুরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রাঙ্গনে সেই অনুষ্ঠান হয়। সাধারণ মানুষ ছাড়াও শাসক দলের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন সেখানে। গোটা ঘটনা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসতেই আগ্নেয়াস্ত্রগুলি হেফাজতে নিয়েছে মানিকচক থানার পুলিশ।
দাবি করা হচ্ছে যে যারা গুলি চালিয়েছে, তাদের কাছে লাইসেন্স ছিল। তবে প্রশ্ন হল লাইসেন্স থাকলেই যেখানে সেখানে গুলি চালানো যায়? পুলিশের কি এই গুলি চালানোর ক্ষেত্রে অনুমতি ছিল?
তৃণমূল নেতা কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী জানিয়েছেন, পুলিশ পুরো বিষয়টা দেখছে। পুলিশকর্তারা ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেছেন। মালদহকে অপরাধ মুক্ত করা হবে বলে পুলিশের উপর আস্থা রেখেছেন তিনি। তবে এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। তিনি বলেন, “গুলি চালানোর দরকার হলেও অনুমতি নেওয়া দরকার ছিল। সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত ছিল।” তাঁর প্রশ্ন, কারও প্রাণহানি হলে কে জবাব দিত?