‘প্রদীপকে চাই না’, হবিবপুরে ফের তৃণমূলের প্রার্থীবদল?
টিকিট পেয়েও বিধানসভা কেন্দ্র পছন্দ হয়নি বলে দল ছেড়েছিলেন সরলা মুর্মু, সেখানে তড়িঘড়ি প্রদীপ বাস্কেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছিল তৃণমূল। এবার তাঁকেও বদলের দাবি উঠল।
মালদহ: টিকিট পেয়েও হবিবপুর বিধানসভা কেন্দ্র পছন্দ হয়নি বলে দল ছেড়েছিলেন সরলা মুর্মু। যোগ দেন বিজেপিতে। অন্যদিকে তাঁর অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সেখানে তড়িঘড়ি প্রদীপ বাস্কেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছিল তৃণমূল। কিন্তু প্রার্থী হিসেবে প্রদীপ বাস্কেকে আবার পছন্দ নয় তৃণমূলের একাংশের। তাঁকে সরিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের আদিবাসী সেলের সভাপতি চুনিয়া মুর্মুকে প্রার্থী করার দাবি তুলে বিক্ষোভে শুরু করলেন তাঁরা।
তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর একের পর এক জেলায় চলছে প্রার্থী বদলের দাবিতে বিক্ষোভ। এবার হবিবপুর বিধানসভায় শুরু হল বিক্ষোভ। বুধবার রাতে হবিবপুর ব্লকের আদিবাসী তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মূলত আদিবাসী মহিলারাই সেই বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন। তৃণমূল কংগ্রেসের আদিবাসী সেলের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ মুর্মুর নেতৃত্বে এই মিছিল হয়। সেখান থেকে হবিবপুর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী প্রদীপ বাস্কের নাম প্রত্যাহার করার দাবি তোলেন তাঁরা। পরিবর্তে তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি চুনিয়া মুর্মুকে প্রার্থী করার দাবি তোলেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, হবিবপুরে আদিবাসী ভোটার প্রায় ৪০ শতাংশ। অথচ এই কেন্দ্রে দল যাকে প্রার্থী করেছে তিনি আদিবাসী সমাজের জন্য কোনওদিন কিছু করেননি বলে এই তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ। ২০১৬ সালে এই হবিবপুর কেন্দ্র থেকে বিজেপির হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন প্রদীপ বাস্কে। পরে তিনি তৃণমূলে যোগদান করলেও এখনও বিজেপির সঙ্গে তিনি গোপনে যোগাযোগ রেখে চলেছেন অভিযোগ। অথচ এই আদিবাসী সমাজেরই প্রতিনিধি শিক্ষক চুনিয়া মুর্মূ জেলায় আদিবাসী সেলের দায়িত্বে যেমন আছেন তেমনি আমাদের উন্নতিতে প্রচুর কাজ করে চলেছেন। দল যদি প্রদীপকে সরিয়ে চুনিয়াকে প্রার্থী না করে তবে এই কেন্দ্র সহ চাঁচল, হরিশ্চন্দ্রপুর, গাজল এবং জেলার অন্যান্য অংশের আদিবাসীরা তৃণমূল থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেবেন বলে জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
আরও পড়ুন: দেওয়াল দখলের লড়াই! বিজেপি প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে
এদিকে প্রদীপ বাস্কে বলেন, দলনেত্রীর কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়েই তিনি প্রার্থী হয়েছেন। কিন্তু বিজেপির সঙ্গে গোপন যোগাযোগ থাকার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন তিনি।