Mausam Noor: মমতা-অভিষেক দু’জনই জেলায়, এরইমধ্যে বিস্ফোরক মৌসম নূর

Malda: যদিও এই প্রথমবার নয়। এর আগেও একই অভিযোগ তুলেছিলেন মৌসম বেনজির নূর। বলেছিলেন, দলের অন্দরে অনেকেরই ক্ষোভ রয়েছে।

Mausam Noor: মমতা-অভিষেক দুজনই জেলায়, এরইমধ্যে বিস্ফোরক মৌসম নূর
মৌসম নূর।

| Edited By: সায়নী জোয়ারদার

May 04, 2023 | 5:18 PM

মালদহ: দলের সুপ্রিমো, দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড একইসঙ্গে যেদিন জেলায় উপস্থিত, সেদিনই দলের একাংশের বিরুদ্ধে সরব হলেন মৌসম বেনজির নূর (Mausam Benazir Noor)। মালদহ সফরে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে ২ মাসে জনজোয়ার কর্মসূচি নিয়ে বৃহস্পতিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও রয়েছেন মালদহে। এরইমধ্যে বিস্ফোরক মৌসম। মালদহে গোষ্ঠীকোন্দলের কথা শোনা গেল তাঁর মুখে। মৌসম বেনজির নূর বলেন, বহু তণমূল নেতা কর্মীকে বসিয়ে রাখা হয়েছে। ক্ষোভ অসন্তোষ রয়েছে ব্লকে, ব্লকে। তাঁদেরও বিভিন্ন কাজে যুক্ত করতে হবে, নিয়ে আসতে হবে বলে দাবি মৌসমের। এই নিয়ে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে নালিশও জানিয়েছেন। আবারও জানাবেন বলে মন্তব্য করেন।

মৌসম বলেন, “আমার যেটা মনে হয়েছে আমি বলেছি। আজকে আমি হয়ত জেলা সভাপতি নাও থাকতে পারি। কিন্তু আমি তৃণমূলের একজন কর্মী। কর্মী হিসাবে আমি সবসময় দলের ভালই চাইব। সে কারণে আমার যা যা মতামত দলকে জানিয়েছি। বহু কর্মী আমাকে ফোন করেছিলেন। আমি আগেও বলেছি। আজও বলব যাঁরা বসে আছেন, তাঁদের আরও কাছে নিয়ে নেওয়া উচিত। কারণ তৃণমূল আমাদের সেই দল যারা সকলকে নিয়ে চলে। বিভিন্ন জায়গা থেকে, বিভিন্ন দল থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে লোক এসেছে। অনেক আশা নিয়ে এসেছে। সবাইকে সুযোগ দেওয়া উচিত। যাঁরা সুযোগ পাচ্ছেন না তাঁদেরও কাছে টেনে নেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।”

যদিও এই প্রথমবার নয়। এর আগেও একই অভিযোগ তুলেছিলেন মৌসম বেনজির নূর। বলেছিলেন, দলের অন্দরে অনেকেরই ক্ষোভ রয়েছে। অনেককে কাজে লাগানো হচ্ছে না। ময়দানে নামতে দেওয়া হচ্ছে না। আবারও এদিন একই সুর মৌসমের গলায়।

এ প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “ওনার মনে হয়েছে উনি জানিয়েছেন। উনি তো কংগ্রেসের নেত্রী ছিলেন। দল বদল করে তৃণমূল হয়েছেন। বুঝতে পারছেন উনি যে আছেন সেটাই মানুষ আর টের পাচ্ছে না। তাঁকে হয়ত কেউ ডাকছেও না। তৃণমূলে যে যত বেশি সওদা করতে পারবে ততবেশি গুরুত্ব। টাকা যত বেশি দিতে পারবে তত গুরুত্ব। আর তৃণমূল তো ভিতরে ভিতরে অন্য দলের দিকে চলে যাচ্ছে। সে কারণে সবাই আসছেও না। সবাইকে ডাকছেও না। ২০২৬ পর্যন্ত তৃণমূল দলটা টেকে কি না দেখুন।”

অন্যদিকে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “তৃণমূলে ক্ষয় রোগ ধরে গিয়েছে। অতএব লোক বসা আছে। তবে যারা সক্রিয় তারা কী করছে। তারা তো ব্যালট বক্স ছিনতাই করছে। বসা যারা বসে বসে দেখছে। তাই রোগ চারদিকে লেগে রয়েছে।”