HS: ‘দেখে লিখতে দিতে হবে’, দাবিতে তুলকালাম উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের

Subhotosh Bhattacharya | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Mar 23, 2023 | 5:16 PM

Maldah: পরীক্ষায় টুকলি করতে না পেরে ক্লাসরুমে চেয়ার-টেবিল, ফ্যান ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ।

HS: ‘দেখে লিখতে দিতে হবে’, দাবিতে তুলকালাম উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের
স্কুলে উত্তেজনা।

Follow Us

মালদহ: টুকলিতে বাধা দেওয়ায় পরীক্ষাকেন্দ্রে ভাঙচুর, শিক্ষকদের মারধরের অভিযোগ উঠল। এর আগে টুকলি করতে বাধা পেয়ে রাস্তায় টুকলি ছড়িয়ে অবরোধ করেছিল জেলারই একদল উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী (Higher Secondary 2023)। এবার একই কারণে পরীক্ষাকেন্দ্রে ভাঙচুর ও পরীক্ষকদের মারধরের অভিযোগ উঠল পরীক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে। এমনও অভিযোগ, ওই ছাত্রদের ইন্ধন দেন তাঁদের অভিভাবকরা। বৃহস্পতিবার ছিল ফিজিক্স পরীক্ষা। পরীক্ষায় টুকলি করতে না পেরে ক্লাসরুমে চেয়ার-টেবিল, ফ্যান ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকী শিক্ষকদের মোটরবাইকের হেলমেটও নষ্ট করে বলে অভিযোগ। গায়ে হাত তোলা হয় শিক্ষকের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রতুয়া থানার পুলিশ। আসেন স্কুলের এসআইও। এই ঘটনায় আতঙ্কিত রতুয়া হাইমাদ্রাসার শিক্ষকরা। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তাঁরা। এর আগেও রতুয়া হাই মাদ্রাসায় কড়া গার্ড দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিল ভাদো বিএসবি হাইস্কুলের পরীক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ ছিল, ৫-৬ জন পরীক্ষক গার্ড দিচ্ছেন। তাই তাদের পরীক্ষা খারাপ হচ্ছে। গত ১৭ মার্চ এই পরীক্ষার্থীরা রতুয়া-ভালুকা রাজ্য সড়ক অবরোধও করে। এদিন ফের উত্তেজনা।

রতুয়া হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মহম্মদ আতাউর রহমান জানান, “গণ্ডগোল শুরু হয়েছিল ১৯ নম্বর ঘরে। ওই ঘরে ভাদো বিএসবি হাইস্কুলের পরীক্ষার্থীরা ফিজিক্স পরীক্ষা দিচ্ছিল। তারাই এই ঝামেলা করে। কেন তাদের নকল ধরে ফেলা হচ্ছে, কেন কড়া নজরদারিতে তাদের পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে, সেসব প্রশ্ন তুলে তারা হইচই বাধিয়ে দেয়। ততক্ষণে কিছু অভিভাবকও ভিতরে চলে আসেন। ১৯ নম্বর ঘরের পরীক্ষককেও মারধরও করা হয়। পুলিশ সময়মতো এসে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়েছে। আমরা তো নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। রাস্তায় আমাদের বিপদ হতে পারে। ”

এই ঘটনা প্রসঙ্গে এসআই অব স্কুল’স লাবণিতা চক্রবর্তী বলেন,”পরীক্ষার্থীদের বক্তব্য খুব কড়া নজরদারিতে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। ঘাড় ঘোরাতে দেওয়া হচ্ছে না। ওরা চাইছে সবরকম ছাড় দিয়ে পরীক্ষা নিতে হবে। মানে শুধু টুকলি নয়, অন্যের খাতা দেখেও তাদের লিখতে দিতে হবে। ওদের কিছু বলা যাবে না। স্বাভাবিকভাবেই পরীক্ষকরা এমন দাবি মেনে নিতে পারেননি। এতেই আজ পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ওরা পরীক্ষাকেন্দ্রে ভাঙচুর চালিয়েছে। কিছু অভিভাবকও পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকে পড়েন। আমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করছি।”

Next Article