Maldah: আর্সেনিকমুক্ত জল না পেলে ভোট নয়, ‘দিদির দূত’ আসতেই পথ রুখলেন এলাকার লোকজন
Maldah: খালতিপুরের বিভিন্ন অঞ্চল মিলিয়ে প্রায় ৬ হাজার মানুষ বসবাস করেন। এলাকার লোকজনের অভিযোগ, দূষিত জলের কারণে বছরভর গ্রামের মানুষ নানা রোগে ভোগেন।
মালদহ: ‘দিদির দূত’ (Didir Doot) হয়ে গ্রামে ঢুকতেই বিক্ষোভের মুখে মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীরা আওয়াজ তোলেন, ‘জল নেই, ভোট নেই’। সোমবার কালিয়াচকের খালতিপুরে আর্সেনিকমুক্ত জলের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীরা নিজেরা বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, গ্রামে আর্সেনিকমুক্ত জলের ব্যবস্থা না হলে, কোনও রাজনৈতিক নেতা মন্ত্রীকেই গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হবে না। এরপরই মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন গ্রামে আসছেন খবর যায়। অভিযোগ, তারপরই গ্রামবাসীরা প্ল্যাকার্ড হাতে মন্ত্রীর পথ আটকে বিক্ষোভ শুরু করেন।
ইব্রাহিম আলি নামে খালতিপুরের এক বাসিন্দা বলেন, “আমি এখানকার রুস্তমআলিটোলার বাসিন্দা। দিনের পর দিন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিধায়ক, সাংসদ, পিএইচই, বিডিও সকলের প্রতিশ্রুতি পেয়েছি। তবে আর্সেনিকমুক্ত জল আর কেউ এনে দেননি। ভোট এলে নেতারা আসেন, বলেন সব করে দেবেন। ভোট গেলে ওনারাও উধাও।”
জানা গিয়েছে, খালতিপুরের বিভিন্ন অঞ্চল মিলিয়ে প্রায় ৬ হাজার মানুষ বসবাস করেন। এলাকার লোকজনের অভিযোগ, দূষিত জলের কারণে বছরভর গ্রামের মানুষ নানা রোগে ভোগেন। পেটের রোগে প্রাণও যায়। তারপরও কারও কোনও হুঁশ নেই।
যদিও দলীয় এক বৈঠকে মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, “জল নিয়ে সর্বত্রই একটা সমস্যা। শুধু মালদহ বলে নয়, সারা পৃথিবীর সমস্য়া এটা। তবে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন ২০২৪ সালের মধ্যে প্রতিটা বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছবে। বাড়ি বাড়িতে জলের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। তবে এখানে যেহেতু এসেছি, আমরা ইঞ্জিনিয়ারকে পাঠাব। দেখে যাবেন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জল দেওয়ার চেষ্টা করব।”