Body Recover: ‘ওরা ডেকে নিয়ে গেল, গলির মোড়ে যেতেই শুনি আমার ছেলেটা মরে গেছে’, কান্নায় ভেঙে পড়লেন মা
Maldah: শুভজিতের পরিবারের দাবি, রবিবার সন্ধ্যায় শুভজিৎকে তাঁর বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান দুই বন্ধু। এরপর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি।
মালদহ: বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে এক যুবককে খুনের (Unnatural Death) অভিযোগ উঠল। মালদহের ইংরেজবাজার থানা এলাকার ঘটনা। নিহত ওই যুবকের নাম শুভজিৎ বসাক। ১৯ বছর বয়স। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুভজিৎকে খুন করে দুষ্কৃতীরা মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (Maldah Medical College Hospital) ফেলে দিয়ে আসে। রবিবার রাতে হাসপাতাল থেকে ফোন আসে। এরপরই মা গিয়ে দেখেন হাসপাতালে বেডে ছেলের রক্তাক্ত দেহ পড়ে রয়েছে। হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলেন মা। পরিবারের দাবি, এটা পুরোপুরি খুনের ঘটনা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূলের কর্মী ছিলেন শুভজিৎ।
শুভজিতের পরিবারের দাবি, রবিবার সন্ধ্যায় শুভজিৎকে তাঁর বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান দুই বন্ধু। এরপর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। তখন রাত অনেকটা। দুই বন্ধু এসে শুভজিতের খোঁজ করেন। জানতে চান, শুভজিৎ বাড়িতে ফিরেছেন কি না। অভিযোগ, শুভজিতের মা বাইরে বেরিয়ে আসতে না আসতেই ওই দুই যুবক পালিয়ে যান। এরপরই হাসপাতাল থেকে ফোন করে ছেলের এই অবস্থার কথা জানানো হয় মাকে। খবর পেয়েই কোনওমতে হাসপাতালে গিয়ে পৌঁছন তিনি। সেখানে শুভজিৎকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। ততক্ষণে ছেলে শেষ! অভিযোগ, শুভজিতের মাথায়, মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
শুভজিতের মা রুম্পা বসাক বলেন, “আমার ছেলে দোকানে কাজ করে। দোকান থেকে দুপুর দু’টোয় ফেরে। খাওয়া দাওয়া সেরে আবার দোকানে যায়। রবিবার বেলা তিনটের সময় বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। সাতটা অবধি দোকানেই ছিল। দোকান বন্ধের পর দুই বন্ধু রাহুল আর দীপ ডেকে নিয়ে যায় ওকে। রাত ১০টা বেজে গেলেও বাড়ি ফেরেনি। আমি খুঁজতে যাই। কিছ পরে দীপ এসে বলছে শিবু ফিরেছে কি না। আমি আবার বললাম, ‘শিবু তো তোর সঙ্গে ছিল শুনলাম’। বলল দেখছে। আমিও পিছু পিছু যাই। দোকানের মোড়টাও পার করিনি। এরমধ্যেই বলছে শিবু মারা গিয়েছে। আমার মনে হচ্ছে ওরাই ছেলেটাকে কিছু করেছে। ওরা সব জানে। মাথা থেঁতলে আমার ছেলেকে মেরেছে। গোটা শরীরে কোথাও কোনও দাগ নেই।”