CBI in West Bengal: সিবিআইয়ের হাতে ১২১ জন তৃণমূল নেতার নাম, তালিকা ধরেই যাচ্ছে নোটিস; রয়েছেন ‘দাপুটে’রাও
Post Poll Violence: তৃণমূলের দাবি, তাদের হেনস্থা করার জন্য এই ধরনের নোটিস পাঠানো হচ্ছে।
মেদিনীপুর: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় (Post Poll Violence) ফের তৎপর সিবিআই। কেশপুরে (Keshpur) এক বিজেপি (BJP) কর্মী খুনের অভিযোগ ওঠে গত অগস্টে। তারই তদন্তে নেমে ১২১ জন তৃণমূল নেতাকে নোটিস ধরাচ্ছে সিবিআই (CBI)। ইতিমধ্যেই একাধিক জনকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। গত দু’দিনেই প্রায় ৯ জনকে ডেকেছে তারা। যদিও তৃণমূলের দাবি, তাদের হেনস্থা করার জন্য এই ধরনের নোটিস পাঠানো হচ্ছে। বিজেপি ভোটবাক্সে মানুষের সমর্থন না পাওয়ায় প্রতিহিংসা মেটাচ্ছে এভাবে। যদিও বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “সকলেই জানে কী জঘন্য অপরাধ হয়েছে এখানে। এখনও ঘটে চলেছে। প্রতিদিন মৃত্যু হচ্ছে। নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করে দিচ্ছে। জলজ্যান্ত মানুষকে প্রকাশ্যে মারছে। আমরা চাই সিবিআই দোষীদের সাজা দিয়ে মানুষের মনোবল ফিরিয়ে দিক।” একুশের বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশ হয় ২ মে। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল ভোটে জেতার পরই বিজেপি কর্মীদের যথেচ্ছভাবে প্রাণে মেরেছে। এই নিয়েই ভোট পরবর্তী হিংসা মামলা দায়ের হয়। কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআইকে এই তদন্তভার দেয়। গত বছর অগস্টে কেশপুরের কইগেড়িয়া বাজার এলাকায় বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে বিজেপির নেতা সুশীল ধাড়াকে।
দু’দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন সুশীল ধাড়া। এরপরই মারা যান তিনি। সুশীল ধাড়ার মেয়ে সঙ্গীতা ধাড়া চৌধুরী অভিযোগ করেন তাঁর বাবাকে খুন করা হয়েছে। ১২১ জন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছেন কেশপুরের তৃণমূল ব্লক সভাপতি থেকে শুরু করে ব্লকের ১৪টি অঞ্চলের সভাপতি ও কেশপুরের একাধিক দাপুটে নেতা। সিবিআইয়ের ডাক পেয়েছেন কেশপুরের তৃণমূল নেতা মহম্মদ রফিক। তাঁর কথায়, “কেশপুরের ব্লক পর্যায় থেকে অঞ্চল পর্যায় পর্যন্ত ১২১ জনকে ডাকছে। আমিও আছি। এর আগে তিনজনকে ডেকেছে। এবার ২ নম্বর অঞ্চল সভাপতি-সহ মোট ৬ জনকে ডেকেছে সিবিআই।”
মহম্মদ রফিকের কথায়, এই সিবিআই ‘জুজু’ দেখিয়ে তাঁদের দমাতে চাইছে বিজেপি। এই তৃণমূল নেতা বলেন, “আমরা মনে করি তৃণমূলকে হেনস্থা করতেই বুথ স্তর অবধি সিবিআই নেমেছে। পশ্চিমবাংলায় মানুষের ভোট পায়নি কেন্দ্রের শাসকদল। এখন তো বিজেপির দু’টি সংস্থা। এক রাজ্যপাল, অন্যটি সিবিআই। জুজু দেখিয়ে কেশপুরের মানুষকে ভয় দেখানো যাবে না। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে সাধারণ মৃত্যু হয়েছে। কোনও ময়না তদন্ত না করে দেহ দাহ করেছে। এখন পাঁচ মাস পর মেয়ে ডেবরা থেকে কেশপুর এসে বিজেপির মদতে এসব করছে। আমাদের সকলকে দোষী বানানোর চেষ্টা করছে।” এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “সাধারণ মানুষ পুলিশের উপর ভরসা রাখতে না পেরে সিবিআইয়ের কাছে যাচ্ছে। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ তো আদালত দিয়েছে।”