
মালদহ: ঘরোয়া অশান্তির জেরে স্বামীকে ঘরে ঢুকতে বাধা। জোর করে ঘরে ঢুকতে গেলে শেষ পর্যন্ত স্বামীকে খুনের অভিযোগ স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনাতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য মালদহের বামানগোলা থানার পাকুয়াহাট পঞ্চায়েতের উত্তর সালালপুর গ্রামে। তাতেই ব্যাপক শোরগোল এলাকায়। শনিবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর ব্যাপক চিৎকার-চেঁচামেঁচি শুনতে পান প্রতিবেশীরা। কিন্তু এত বড় যে কাণ্ড ঘটে যাবে তা ভাবতে পারেননি কেউই। রক্তে ভেসে যায় এলাকা। খবর চলে যায় পুলিশের কাছে। রাতেই পুলিশ অভিযুক্ত স্ত্রীকে গ্রেফতার করে।
মৃতের নাম বিশ্বজিৎ সরকার। বয়স আনুমানিক ৩১ বছর। তাঁকে খুনের দায়ে তাঁর স্ত্রী পম্পা রায় সরকারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পম্পা-বিশ্বজিতের একটি চার বছরের কন্যা সন্তানও রয়েছে। বিশ্বজিৎ গাজল টোল ট্যাক্সে কর্মরত ছিলেন। পরিবার সূত্রে খবর, বছর ছয়েক আগে পরিচয় হয়েছিল দু’জনের। তারপরই প্রেম, বিয়ে। বিয়ের পর সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও ধীরে ধীরে অবস্থার পরিবর্তন হতে থাকে। প্রেমের সম্পর্কে যেন ধীরে ধীরে ধরে যায় ভাঙন।
পরিবার সূত্রে খবর, বিয়ের কিছু বছর পর্যন্ত সব ঠিকঠাক থাকলেও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়শই ঝগড়া হতো। শনিবার রাতে আনুমানিক ৮টা নাগাদ সেই ঝামেলা চরমে ওঠে। ঝামেলার মধ্যেই বিশ্বজিৎ ঘরে ঢুকতে গেলে পম্পা তাকে বাধা দেন। আরও বেড়ে যায় ঝামেলা। কার্যত হাতাহাতির পরিস্থিতি তৈরি হয়। অভিযোগ এরইমধ্যে বাড়ির ভিতর থেকে ছুরি নিয়ে চলে আসেন পম্পা। আর তা নেমে আসে বিশ্বজিতের উপরে। রক্তে ভেসে যায় ঘর। চিৎকার চেঁচামেঁচিতে ছুটে আসেন পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। ছুটে আসেন প্রতিবেশীরাও। রক্তাক্ত অবস্থায় বিশ্বজিতকে উদ্ধার করে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসা চলাকালীন গভীর রাতে মৃত্যু হয় বিশ্বজিতের। এরইমধ্যে খবর চলে যায় পুলিশের কাছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বামন গোলা থানার পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় পম্পাকে।