বারুইপুর: কখনও রাস্তার ধারের চায়ের দোকানে ঢুকে খাচ্ছেন চা। নিজের হাতেই আবার বানিয়েও ফেলছেন। আবার কখনও চায়ের দোকানে থাকা লোকজনের সঙ্গে খোশমেজাজে গল্পও করছেন। এই তো বছর খানেক আগে উত্তরবঙ্গে গিয়ে দার্জিলিংয়ে একটা মোমোর দোকানে ঢুকে একেবারে নিজে হাতে মোমো বানাতে শুরু করে দিয়েছিলেন। নিজের হাতে মোমোর পুর বানিয়ে ভাজতেও দেন। সোজ কথায়, জনসংযোগের নিত্যনতুন স্টাইলে মমতার জুড়ি মেলা ভার। এবার যেন ‘দিদির’ পদাঙ্ক অনুসরণ করে সেই মোমোকে হাতিয়ার করে লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করে দিলেন সায়নী ঘোষ। তাঁর পরনে শাড়ি।
প্রসঙ্গত, রবিবারের ব্রিগেড থেকেই রাজ্যের ৪২ লোকসভা কেন্দ্রের জন্য দলের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সায়নীকে টিকিট দেওয়া হয়েছে যাদবপুর থেকে। এই যাদবপুর থেকেই বিজেপির প্রার্থী অনির্বান গঙ্গোপাধ্যায়। বামেদের তরফে এখনও প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা না হলেও শোনা যাচ্ছে এই আসন থেকে লড়তে পারেন দাপুটে বাম নেতা সৃজন ভট্টাচার্য। এদিকে নাম ঘোষণা হতে না হতেই কোমর বেঁধে প্রচারে নেমে পড়েছেন সায়নী।
এদিন এসেছিলেন বারুইপুরে। বারুইপুর পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রে আসার পরেই আচমকা সেখানে এক খাবারের দোকানে ঢুকে পড়েন। সঙ্গে ছিলেন ওই কেন্দ্রের বিধায়ক তথা বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, কাছারি বাজার সংলগ্ন এলাকায় থাকা ওই দোকান চালায় মহিলাদের একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠী। দোকানেই ঢুকেই প্রথমে আলাপ জমাতে দেখা যায় দোকানের কর্মীদের সঙ্গে। তারপর নিজে হাতে তৈরি করে ফেলেন মোমো। এদিক তৃণমূল এই যুব নেত্রীকে একেবারে অন্যরূপে দেখে প্রথমে কিছুটা অবাক হয়ে যান এলাকার লোকজন। যদিও শেষ পর্যন্ত হাসিমুখেই সায়নীকে সাহায্য করতে দেখা যায় দোকানের অন্যান্য মহিলা কর্মীদের।