Madhyamik Pariksha: মাধ্যমিকে নজরকাড়া নম্বর! সংসার চালাতে ধুপকাঠি বেচেই উচ্চ মাধ্যমিকের প্রস্তুতি নিচ্ছেন মন্দিরা

Madhyamik Pariksha: উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত প্রিয়নাথ গার্লস হাইস্কুলের পড়ুয়া মন্দিরা। এর আগে মাধ্যমিকে ফার্স্ট ডিভিশনে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন মন্দিরা। এবার জীবনের আরও একটা বড় পরীক্ষার পালা।

Madhyamik Pariksha: মাধ্যমিকে নজরকাড়া নম্বর! সংসার চালাতে ধুপকাঠি বেচেই উচ্চ মাধ্যমিকের প্রস্তুতি নিচ্ছেন মন্দিরা
ধুপকাঠি বিক্রি করছেন মন্দিরাImage Credit source: ফাইল চিত্র

| Edited By: Avra Chattopadhyay

Feb 17, 2025 | 5:24 PM

বারাসত: প্রতিদিন সকালে উঠে একটাই কাজ তাঁর। পড়াশোনা শেষ করে ধুপকাঠি বিক্রি করতে বেরনো। বাজারের বিভিন্ন দোকানে গিয়ে ধুপকাঠি দিয়ে আসে সে। বিগত এক বছর ধরে এই তাঁর প্রতিদিনের রুটিন। কিন্তু সামনেই যে আবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। তাতে কী? পেট তো আগে। এই ধুপকাঠিটা যে না বিক্রি করলে চলবে না সংসার। তাই পড়াশোনার ফাঁকে বড় দায়িত্বটা নিজের কাঁধেই তুলে নিয়েছেন ১৭-এর মন্দিরা।

বাবা সাহেব সিংহের রয়েছে ছোট্ট লটারির ব্যবসা। এলাকায় ঘুরে ঘুরেই সামান্য আয় করেন তিনি। বাবার আয়ে সংসারে ওতটা চলে না। তাই পড়াশোনার ফাঁকে বাবার চাপ কমাতে এক বছর ধরে নিজেই বেরিয়ে পড়েছেন মন্দিরা। পরিবারে বাবা ছাড়াও মন্দিরার রয়েছে মা ও একটি ছোট ভাইও। তাঁর এই ব্যবসায়, তাঁরাও কিন্তু বড় সঙ্গী।

উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত প্রিয়নাথ গার্লস হাইস্কুলের পড়ুয়া মন্দিরা। এর আগে মাধ্যমিকে ফার্স্ট ডিভিশনে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন মন্দিরা। এবার জীবনের আরও একটা বড় পরীক্ষার পালা। কিন্তু সেই পরীক্ষা যেন প্রতিদিনই দিচ্ছে মন্দিরা। লড়াই করছে আর্থিক অনটনের সঙ্গে।

এমনই একদিন ধুপকাঠি বিক্রি করার সময় মন্দিরাকে দেখেন সমাজ সেবী বিশ্বজিৎ কুন্ডু। তাঁর প্রতি সমবেদনা জাগে তার। খবর দেন বিশিষ্ট্য সমাজসেবী ও শিল্পী সুজিত সাহাকেও। এরপরই মন্দিরার লড়াইয়ে তাঁর পাশে দাঁড়ানোর কথা জানান তাঁরা। হাতে তুলে দেন বোর্ড পেন স্কেল জলের বোতল ও সামান্য কিছু টাকাও। প্রতিশ্রুতি দেন মন্দিরার লড়াইয়ে সঙ্গী হওয়ার।