Adhir Chowdhury: ‘একজন পরিযায়ী গুলি খেয়ে মারা গিয়েছে, অনেকে বাইরে আছেন…’, মুর্শিদাবাদ নিয়ে বলতে গিয়ে মুখ খুললেন অধীর
Adhir Chowdhury: বস্তুত, মালদহ-মুর্শিদাবাদের প্রচুর বেকার যুবক ভীনরাজ্যে কাজে যান। সেখানে তাঁরা জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু বর্তমানে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে মুর্শিদাবাদে, তাতে জেলার নাম কার্যত খারাপ হচ্ছে।

মুর্শিদাবাদ: মুর্শিদাবাদের ঘটনার পিছনে পরিযায়ী শ্রমিকদের একাংশকে দুষেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আবার খানিকটা তাঁর সুরেই সুর মেলাতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূল সাংসদ আবু তাহের খানকেও। তবে উল্টো সুর শোনা গেল কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ অধীর চৌধুরীর গলায়। তাঁর বক্তব্য, মুর্শিদাবাদের বদনাম হলে বাইরের রাজ্যে সমস্যায় পড়ে যাবেন পরিযায়ী শ্রমিকরা।
বস্তুত, মালদহ-মুর্শিদাবাদের প্রচুর বেকার যুবক ভীনরাজ্যে কাজে যান। সেখানে তাঁরা জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু বর্তমানে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে মুর্শিদাবাদে, তাতে জেলার নাম কার্যত খারাপ হচ্ছে। সেই কারণে বাংলার বাইরে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হতে পারে এই সকল যুবকদের বলে আশঙ্কা করেছেন অধীর। শুধু তাই নয়, তাঁদের প্রাণহানির বিষয়টিও উড়িয়ে দেননি প্রাক্তন সাংসদ। তিনি বলেছেন, “একজন পরিযায়ী গুলি খেয়ে মারা গিয়েছে। এমন কত পরিযায়ী শ্রমিক বাইরে পড়ে আছে। মুর্শিদাবাদের বদনাম যদি বাইরে হয়, তাহলে এই সমস্ত জেলার যে সমস্ত যুবক বাইরে কাজ করছেন তাঁদের অসুবিধা হবে। সেই কথাও ভাবতে হবে। তাই প্রশাসন নড়েচড়ে বসুক।”
যদিও, অধীর এই কথা বললেও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কিন্তু বলেছেন অন্য কথা। তিনি বলেছেন, “১০০ কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। ওই এলাকায় একটা তালিকা করছি আমরা। যাঁরা বিজেপি শাসিত রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন। যাঁদের বাড়ির লোকেরা এই হামলায় যুক্ত। তাঁদের উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, গুজরাট থেকে ফিরে এসে সারাতে হবে। তারপর অন্য কথা হবে। আমরা ছাড়ব না। লম্বা রোড ম্যাপ তৈরি করেছি।” তৃণমূল সাংসদ আবু তাহের খান আবার বলেছেন, “পরিযায়ী শ্রমিকদের অনেকে বাইরে আছেন। তাঁরা ইদে বাড়ি এসেছিলেন। আবার বাড়িও চলে যায়। এমন কিছু বাচ্চা-ছেলে আছে, যাঁরা এই উস্কানিতে আরও একটু উস্কানি দিয়ে এই সমস্ত ঘটনা ঘটিয়ে দেয়।” তবে আবু তাহেরের মন্তব্যের বিরোধিতা করেছিলেন আবার হুমায়ুন কবীর। তিনি পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর দোষারোপের ঘটনাকে কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন।





