মুর্শিদাবাদ: জল্পনা ছিলই। অবশেষে তা সত্যি করে জঙ্গিপুরের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ অভিজিৎ মুখার্জির (Abhijit Mukherjee) হাত ছেড়ে তুলে নিয়েছেন ঘাসফুলের পতাকা। আর তার অব্যবহিত পরে সাংবাদিক বৈঠক করে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব-পুত্রের দলত্যাগ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury)।
সোমবার অভিজিতের তৃণমূলে যোগদান প্রসঙ্গে অধীর বলেন, “আমাদের পার্টি প্রাক্তন সাংসদ, আমাদের সর্বমান্য ভারতবর্ষের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির। তাঁর সন্তানের মনে হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করা উচিত। তাই তৃণমূলে যোগদান করেছেন। এখানে আমাদের কিছু বলার নেই। এ ব্যাপারে যদি কিছু বলার থাকে যাঁরা যোগদান করেছেন তাঁরাই বলবেন।”
উল্লেখ্য এদিন তৃণমূল ভবনে দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা তুলে নেন প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ। তৃণমূলে আনুষ্ঠানিক যোগদানের পর তিনি বলেন, “দিদির অনুমতিতে, অভিষেকবাবুর অনুমতিতে আজ আমি এখানে হাজির। আজ সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের একজন প্রাথমিক সদস্য হিসাবে যোগদান করলাম। এক কংগ্রেস থেকে অন্য কংগ্রেসে। মূল থেকে তৃণে। কিন্তু কংগ্রেসেই আছি।”
পাশাপাশি তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ‘কারণ’ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে অভিজিৎ বলেন, ‘‘বিধানসভা ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমাণ করেছেন তিনি বিজেপি-কে রুখতে পারেন। আমার বিশ্বাস আগামী লোকসভা ভোটেও তিনি তা পারবেন।’’ জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের দু’বারের কংগ্রেস সাংসদ তথা বীরভূমের নলহাটির প্রাক্তন বিধায়ক আরও জানান বাবার কারণে নয়, কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন নিজের সিদ্ধান্তে। হাত শিবিরও ছেড়েছেন নিজেই।
এদিকে বাংলায় বিধানসভা ভোটের পর থেকেই অধীর-পদে বেড়েছে অস্থিরতা। বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরীকে নিয়ে নানা জল্পনা শোনা যাচ্ছে। জোর চর্চা শুরু হয়েছে, অধীরের গুরুত্ব কমাতে চাইছে কংগ্রেস। গুঞ্জন জোরাল, রাজ্যসভাতে কংগ্রেস তাদের দলনেতা পরিবর্তন করতে পারে। আর লোকসভায় দলনেতার পদ নিজেই নিতে পারেন সনিয়া গান্ধী। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে অবশ্য এ নিয়ে সংসদীয় অধীর চৌধুরী বলেন, এ ব্যাপারে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে চর্চা চলছে। তবে তাঁর কাছে এমন কোনও নির্দেশ আসেনি।
আরও পড়ুন: অধীর-পদে অস্থিরতা! বহরমপুরের সাংসদকে সরিয়ে এবার লোকসভায় দলের ভার কি সোনিয়ার হাতেই? উঠছে প্রশ্ন
লোকসভায় প্রথম বাঙালি বিরোধী নেতা অধীরের কথায়, ‘আমি কংগ্রেসের একজন সৈনিক। দল যে দায়িত্ব দেবে সেই দায়িত্ব পালন করব। তবে এই ব্যাপারে আমার মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।”