Murshidabad: কেন বেছে নেওয়া হল সাজুর মোড়, কেন টার্গেট বেতবোনা? পরপর একই প্যাটার্ন! ‘স্ট্র্যাটেজি’ খুঁজছেন গোয়েন্দারা
Murshidabad: বাড়িগুলির আসবাব থেকে বাসনপত্র সব পুড়ে ছাই। বেশিরভাগ বাড়িতেই আগুন লাগানো হয়েছে একই ধাঁচে। বাড়িগুলিতে প্রথমে লুঠপাট চালানো হয়েছে। পরে সিলিন্ডার খুলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

কলকাতা: ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে প্রতিবাদ শুরু হয়েছিল কিছুদিন আগেই। তবে গত শুক্রবার মুর্শিদাবাদে যে ছবি দেখা যায়, তা ভয়ঙ্কর। দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন, শোনা যাচ্ছে বোমার শব্দ, যে যেদিকে পারছে পালিয়ে যাচ্ছে। আর এসবের ফাঁকে বেতবোনা, জাফনাবাদের মতো গ্রামগুলিতে সে দিন কী ঘটল, সেই খবর কেউ রাখেনি। পরে পুলিশ যখন গ্রামে পৌঁছয়, তখন আর চেনা যাচ্ছে না ঘর-বাড়িগুলো। পুড়ে খাক একের পর এক পাকা বাড়ি। নিছক আন্দোলন নাকি পরিকল্পনামাফিক হামলা? উঠেছে প্রশ্ন।
কেন বেছে নেওয়া হল সাজুর মোড়?
ঘটনার পর চারদিন কেটে গিয়েছে। গোয়েন্দাদের হাতে উঠে আসছে একের পর এক তথ্য। জানা যাচ্ছে, মুর্শিদাবাদে সাজুর মোড় হল এমন একটি জায়গা, যে জায়গাটা আটকে দিলে ধুলিয়ানে পৌঁছনো সম্ভব নয় পুলিশের পক্ষে। এদিকে, রেল লাইনে চলে বিক্ষোভ, আটকে দেওয়া হয় ট্রেন। তারই মধ্যে হামলা চলে বেতবোনা, জাফনাবাদের মতো গ্রামে। সেই সময় জঙ্গিপুর থেকে ধুলিয়ানে পৌঁছনো প্রায় অসম্ভব ছিল পুলিশের পক্ষে।
কেন টার্গেট বেতবোনা?
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদের ওই গ্রামে বহু পরিযায়ী শ্রমিকের বাস। ফলে, বেশিরভাগ বাড়িতেই পুরুষ সদস্যরা অনুপস্থিত থাকে। সন্তানদের নিয়ে মহিলাদের বাস সেখানে। ফলে, ভয় দেখাতে সুবিধা হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। এছাড়া, মূলত টার্গেট করা হয়েছে পাকা বাড়িগুলিকে।
আগুন লাগানোর প্যাটার্নও এক
বাড়িগুলির আসবাব থেকে বাসনপত্র সব পুড়ে ছাই। বেশিরভাগ বাড়িতেই আগুন লাগানো হয়েছে একই ধাঁচে। বাড়িগুলিতে প্রথমে লুঠপাট চালানো হয়েছে। পরে সিলিন্ডার খুলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে আগুনের বীভৎসতা এতটাই বেড়ে যায় যে, এখনও কোনও কোনও বাড়িতে আগুন ধিকিধিকি জ্বলছে। গোয়েন্দাদের অনুমান, পেশাদার দুষ্কৃতীরা এই কাজ করে থাকতে পারে।
যেভাবে বাড়িতে বাড়িতে ঢুকে নগদ টাকা বা গয়না লুঠ করা হয়েছে, তাতে প্রশ্ন উঠেছে, হামলাকারীরা কি শুধুই ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন, নাকি ছিল কোনও অন্য উদ্দেশ্য?
আর এই সব ঘটনাগুলোই ঘটেছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ৩-৪ কিলোমিটারের মধ্যে। ফলে, বহিরাগতদের যোগ থাকার কথাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।





