Murshidabad: বাড়িতে মজুত করা পেঁয়াজ, রসুন পর্যন্ত পুড়ে ছাই! জলের ট্যাঙ্কে বিষ! কথা বলতে গেলে কাঁপছে গলা… দেখুন বেতবোনার সেই ছবি
Murshidabad: বাড়িগুলি পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। এখনও বাড়ির বিভিন্ন অংশ থেকে ধোঁয়া বেরতে দেখা যাচ্ছে। খাবার থেকে টাকা, বেঁচে নেই কিছুই।

মুর্শিদাবাদ: আজ রাতটা আবার সেদিনের মতো হবে না তো! সন্ধ্যার অন্ধকার নামলেই যেন বুক চেপে ধরে ভয়। বাড়িতে আর কিছু আস্ত নেই। শোবার খাট ভেঙে অর্ধেক, পুড়ে যাওয়ায় রান্নাঘর দেখে চোখে জল আসছে ওদের। কোলের সন্তানকে খেতে দেবে কী? জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে পড়ার বই, কষ্টের সঞ্চয়ের টাকা, মূল্যবান গয়না। এখন শুধুই আতঙ্কের ছবি মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের বেতবোনা গ্রামে।
দুষ্কৃতীদের হাতে সবথেকে বেশি আক্রান্ত ধুলিয়ান পুরসভার অন্তর্গত বেতবোনা গ্রাম। শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত প্রায় ১৩০টি বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। সেই গ্রামে গিয়ে পৌঁছলাম আমরা। সব গয়না, টাকা পয়সা লুট করে নিয়েছে। TV9 বাংলার ক্যামেরায় দেখা গেল, বাড়ির আনাচ-কানাচে এখনও জ্বলছে আগুন, মানুষ কাঁদছে রাস্তায় বসে। সব বাড়ি ভাঙচুর করেছে আশপাশের এলাকা থেকে আসা দুষ্কৃতীরা। কিছুই অবশিষ্ট নেই। এমনকী রান্নাঘরের পেঁয়াজ-রসুন পর্যন্ত আস্ত নেই। সব পুড়ে ছাই।
ক্যামেরায় উঠে এল সেই সব মর্মান্তিক ছবি। প্রতিটি ঘর, বাড়ির খাটাল সহ সব জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাড়ির আসবাবপত্র থেকে গয়না, ফ্রিজ থেকে বাইক, সব ভেঙে তছনছ করা হয়েছে। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আতঙ্কে দিশেহারা সাধারণ মানুষ। খাবার নেই, বিদ্যুৎ নেই। জলের ট্যাঙ্কে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে বিষ। মুখে দেওয়ার জলটুকু নেই।
বাঁচবেন কীভাবে? সেই রাতের কথা বলতে গিয়ে গলা কেঁপে আসে বৃদ্ধের। বলেন, “৭০ বছরের জীবনে এরকম কখনও দেখিনি। আমরা নিরাপত্তা চাই। নিরাপদে থাকবেন কীভাবে? প্রশ্ন উঠছে অসংখ্য মানুষের চোখের জলে।” কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে গেলে কী হবে, প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা।





