Murshidabad: পয়লার সকালে ধু ধু মন্দির, লোক নেই গঙ্গার ঘাটে, কালীর পায়ে মাথা পর্যন্ত ঠেকাতে গেল না কেউ!
Murshidabad: অন্যান্য বছর ওই মন্দিরে পা ফেলার জায়গা থাকে না। কিন্তু এই বছর সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র। সকাল থেকে নেই কোনও মানুষের ভিড়। হালখাতা নিয়ে প্রায় কেউ যায়নি। মানুষের মনে আনন্দ নেই, মানুষ আসবে কীভাবে?

ধুলিয়ান: গঙ্গায় স্নান করে সোজা মন্দিরে। কালী মূর্তিতে হালখাতা ছুঁইয়ে শুরু হবে নতুন বছর। এটাই দীর্ঘদিনের রীতি। তবে ১৪৩২ সালের শুরুটা যেন অন্যরকম। মন্দিরে ভক্তের দেখা নেই, গঙ্গার ঘাটে ভিড় নেই। যাদের হালখাতা নিয়ে যাওয়ার কথা, তাদের দোকানই বন্ধ। ধুলিয়ানের সবথেকে বড় কালী মন্দিরের অবস্থা দেখলেই বোঝা যাবে, নতুন বছর এবার বিষাদে ভরা।
অন্যান্য বছর ওই মন্দিরে পা ফেলার জায়গা থাকে না। কিন্তু এই বছর সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র। সকাল থেকে নেই কোনও মানুষের ভিড়। হালখাতা নিয়ে প্রায় কেউ যায়নি। মানুষের মনে আনন্দ নেই, মানুষ আসবে কীভাবে? এমনটাই বললেন মন্দিরের প্রধান পুরোহিত দিলীপ মিশ্র। এলাকার মানুষের বক্তব্য, পুজো দিতে কেউ আসেননি, মানুষের মন ভাল নেই। আতঙ্কে রয়েছেন সবাই। নববর্ষ বিষাদে পরিণত হয়েছে।
কারো দোকানে শাটার পুরো বন্ধ। কারও দোকানে অর্ধেক বন্ধ। কেউ আশা করে বসে রয়েছেন, এবার অন্তত গ্রাহক আসবে বেচাকেনা শুরু হবে। কেউ আবার চরম হতাশায় দোকানের সামনে মাথায় হাত দিয়েই বসে রয়েছেন।
বাড়ির মেয়েরাও সকাল সকাল মন্দিরে যেতে পারলেন না এবার। ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরলেও কোথায় যেন হারিয়ে গেল চেনা ধুলিয়ান। নববর্ষ এবার যেন অন্ধকারাচ্ছন্ন।





