Babri Masjid: মক্কা নয়, মেদিনীপুরের ‘ক্কারি সাহেব’ সেদিন মঞ্চে উঠল কীভাবে? ‘চক্রান্ত’ বলছেন হুমায়ুন
Humayun Kabir: শিলান্যাসের পর প্রশ্ন ওঠে, ওই দুজন আসলে কারা? শুরু হয় বিতর্ক। এবার সরাসরি সাংবাদিক বৈঠক করে জানানো হল, ওই দু'জন আসলে কে? চক্রান্তের অভিযোগও তুললেন হুমায়ুন কবীর। দুজনের সঙ্গে সেদিন হাত ধরে ছবিও তুলেছিলেন বিধায়ক।

মুর্শিদাবাদ: সৌদি আরব থেকে অতিথি এনে বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করাবেন। আগেই সে কথা জানিয়েছিলেন হুমায়ুন কবীর। ৬ ডিসেম্বর বহু মানুষের উপস্থিতিতে সেই শিলান্যাস হল। মঞ্চে দাঁড়িয়ে ফিতে কাটলেন ভরতপুরের বিধায়ক। পাশে সাদা কাপড় মাথায় দিয়ে উপস্থিত ছিলেন দু’জন ক্কারি বা ইমাম। ঘোষণা করা হয়, ‘মক্কা-মদিনা থেকে দুজন এসেছেন।’ তাঁদের হাত ধরে মঞ্চে দাঁড়ান হুমায়ুন। মুখে হাসি।
শিলান্যাসের পর প্রশ্ন ওঠে, ওই দুজন আসলে কারা? শুরু হয় বিতর্ক। এবার সরাসরি সাংবাদিক বৈঠক করে জানানো হল, ওই দু’জন আসলে কে? চক্রান্তের অভিযোগও তুললেন হুমায়ুন কবীর।
বুধবার ‘জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দে’র সম্পাদক খন্দেকার মহম্মদ ইউসুফ সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি করেন, মক্কা-মদিনা থেকে কোনও ক্বারী সেদিন আসেননি। তাঁর উপরেই আনার দায়িত্ব ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সৌদি থেকে কেউ আসতে না পারায় পূর্ব মেদিনীপুর ও মুর্শিদাবাদ থেকে ক্কারি আনা হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, “সৌদি থেকে মেহমান আনার অনেক লম্বা প্রসেস। ভিসা করাতে হত, বিমানে আনতে হত। তড়িঘড়ি আনা যায়নি। তাই দু’জন ক্বারিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। একজন পূর্ব মেদিনীপুর আব্দুল্লা সাহেব ও মুর্শিদাবাদের ক্কারি সুফিয়ান সাহেব। এরাও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ক্বারি সাহেব। সেদিন মানুষ বিভ্রান্ত হবেন বলে পরিচয় দেওয়া হয়নি।” ভিত্তিস্থাপনের সময় আনার চেষ্টা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, অনেকে অপপ্রচার করে বাবরি মসজিদ বন্ধ করার চেষ্টা করছেন, কিন্তু সেটা হতে দেওয়া যাবে না।
এই পুরো বিষয়টাতে চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছেন হুমায়ুন কবীর। বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। বিধায়ক বলেন, “সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দের জেলা ভাপতি বদরুল আলম আর তাঁর সেক্রেটারি মউলানা ইউসুফ মিলে এটা করেছে। এটার জবাবও মুসলিমরা দেবে।”
