Murshidabad: মুর্শিদাবাদে হিংসায় নিহত বাবা-ছেলের পরিবারকে ১০ লাখি চেক তুলে দিলেন শুভেন্দু
Murshidabad: হিংসায় ক্ষতিগ্রস্থ সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি, ওই সময় জাফরাবাদে নিহত পিতা-পুত্রের পরিবারের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। তাদের দুই স্ত্রীয়ের হাতে দশ লক্ষ ১ হাজার করে মোট ২০ লক্ষ ২ হাজার টাকার চেক তুলে দেন তিনি। পাশাপাশি, তাদের সন্তানদের চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাসও দেন বিরোধী দলনেতা।

মুর্শিদাবাদ: জাফরাবাদে মৃত হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাসের বাড়িতে গেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এমনকি, শুধু গেলেনই নয়, একেবারে বৈঠকের আকারে ‘হিন্দু হৃদয় সম্রাট’ হয়ে নিহতদের পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরণও তুলে দিয়ে এলেন তিনি। পাশাপাশি, আশ্বাস দিলেন চাকরিরও।
শুক্রবার, কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি নিয়েই মুর্শিদাবাদে যান শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই দিন কতক আগে সংশোধিত ওয়াকফ আইনকে ঘিরে তৈরি হয়েছিল অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। ধুলিয়ান, সুতি, জাফরাবাদ-সহ বেশ কিছু এলাকা রাতারাতি পরিণত হয়েছিল অশান্তির কেন্দ্রবিন্দুতে। ঘরছাড়া হয়েছিল ৫০০-এর অধিক পরিবার। এদিন সেই হিংসা বিধ্বস্ত মুর্শিদাবাদের এলাকাগুলিতেই পরিদর্শনে যান বিরোধী দলনেতা। ফের একবার তোলেন NIA তদন্তের দাবি।
হিংসায় ক্ষতিগ্রস্থদের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি, ওই সময় জাফরাবাদে নিহত পিতা-পুত্রের পরিবারের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন শুভেন্দু। তাদের দুই স্ত্রীয়ের হাতে তুলে দেন দশ লক্ষ ১ হাজার করে মোট ২০ লক্ষ ২ হাজার টাকার চেক। পাশাপাশি, তাদের সন্তানদের পড়াশোনার দায়িত্ব নেবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। বলে রাখা ভাল, চলতি মাসের মাঝামাঝি সময় হিংসায় প্রাণ যাওয়া হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাসের পরিবারের জন্য ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কিন্তু সেই আর্থিক সাহায্য ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তারা। তবে এবার বিরোধী দলনেতা সাহায্যের হাত বাড়াতেই তা আর ফেরাতে পারেনি দাস পরিবার।
এই মর্মে শুভেন্দু বলেন, ‘আমি কৃতজ্ঞ যে তারা মুখ্যমন্ত্রীর অর্থ প্রত্যাখান করেছে। বিরোধী দলনেতার সাহায্য গ্রহণ করেছে। মুখ্যমন্ত্রী দশ লক্ষ দেবে বলেছিলেন। আমি দশ লক্ষ ১ হাজার টাকা করে দিয়েছি। চন্দনের স্ত্রীর দায়িত্ব নেব। বাচ্চাগুলোকে পড়াবো। BSF থাকবে। হিন্দুদের পালাতে হবে না।’





