
কলকাতা: নতুন দল তৈরি করবেন বলেছিলেন, তারপর প্রকাশ্যেই দলের নেতৃত্বদের বিরুদ্ধে বহুবার মুখ খুলেছিলেন। একধিকবার শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে জবাবদিহিও করতে হয়েছে তাঁকে। তবে কোনও কিছুতেই তিনি যে দমছেন না তা আবারও বোঝালেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। বেলডাঙায় বাবরি মসজিদ তৈরি হবে আগেই বলেছিলেন। সেই মতোই ওই দিন সেখানে এই মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন বলে ঘোষণা করলেন।
বস্তুত, আগামী ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিন সংহতি দিবসের ডাক দিয়েছে তৃণমূল। উপস্থিত থাকবেন খোদ সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাতে কী? সংহতি দিবসের জমায়েতে তিনি যোগ দেবেন না স্পষ্ট জানিয়েছেন হুমায়ুন। কারণ, সেই দিন তিনি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের অনুষ্ঠানের ব্যস্ত থাকবেন। তিনি বলেন, “৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদের ভিত্তি স্থাপন করা হবে। সংহতি দিবসে উপস্থিত থাকতে পারব না।”
৬ ডিসেম্বর বেলডাঙায় কী হবে?
হুমায়ুন টিভি ৯ বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, “ওই দিন ইসলাম সমাজেক ধর্মগুরুরা থাকবেন। মদিনা থেকে একজন আসবেন। এছাড়াও দিল্লি, কলকাতা, মুম্বই থেকে আসবেন অনেকে। আব্বাস সিদ্দিকিকেও জানাব।” তিনি আরও বলেন, “আমি একজন মুসলিম। চক্রান্তের শিকার বাবরি মসজিদ। আর মসজিদ লিগ্যাল জায়গায় করা হয়।” হুমায়ুনের অনুমান ওই দিন প্রায় ২ লক্ষ লোক আসবেন মুর্শিদাবাদে। তিনি বলেন, “আমার নিজের ধারণা বাবরি মসজিদের শিলান্যাসে ২ লক্ষ লোক থাকবেন। শুধু মুর্শিদাবাদ নয়, উত্তরবঙ্গ এমনকী বীরভূম থেকেও প্রচুর মানুষ আসবেন।”
তৃণমূল বিধায়ক এ দিন স্পষ্টত বলেন, “আগে থেকেই পূর্ব-নির্ধারিত কর্মসূচি রয়েছে। ১৯৯২ সালে আমাদের বাবরি মসজিদ ধ্বংস করা হয়েছিল। সেই দিনটিকে আমরা কালা দিবস হিসেবে পালন করি। ঠিক করেছি,মুর্শিদাবাদেই বাবরি মসজিদ গড়ে তোলা হবে। একটি ট্রাস্টি বোর্ড তৈরি হবে। ২০২৫ সালের ৬ ডিসেম্বর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে।”