
কলকাতা: হাতের হাত ধরে রাজনীতিতে প্রবেশ। তারপর ঘাসফুল, পদ্ম শিবির ঘোরা হয়ে গিয়েছে। এখন নিজেই রাজনৈতিক দল গড়েছেন। তাঁকে ঘিরে মাঝে মধ্যেই বিতর্ক বাধে। ২০২৫ সালে প্রায় প্রতিদিন খবরের শিরোনামে এসেছেন। সেই হুমায়ুন কবীরের পরিবারে কে কে রয়েছেন? নিজের পরিবার, ভাই-বোনদের নিয়ে মুখ খুলেছেন ভরতপুরের বিধায়ক। তাঁদের নামকরণের পিছনে কী কারণ রয়েছে, তাও জানালেন।
ইউটিউবে এক সাংবাদিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের পরিবার নিয়ে বলতে গিয়ে হুমায়ুন বলেন, “আমার বাবা-মায়ের পাঁচ ছেলে। আর তিন মেয়ে। ২ বোন মারা গিয়েছে। এক বোন রয়েছে। আর পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে দুই ভাই মারা গিয়েছে। বড়দার বয়স এখন ৭৮। মেজদা মারা গিয়েছেন। সেজদার বয়স ৬৮ বছর। আর আমি ছোট। আমার উপরের দাদা মারা গিয়েছে।”
তাঁদের পাঁচভাইয়ের নামকরণের পিছনে কাহিনি বলতে গিয়ে ভরতপুরের বিধায়ক বলেন, “আমার বাবারা চার ভাই ছিলেন। আমার বাবা বড়। বাবার মেজ ভাই ভাল ফুটবলার ছিলেন। পড়াশোনাতেও ভাল ছিলেন। বাবার ওই মেজভাই কামারপুকুর রামকৃ্ষ্ণ মিশন স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। আমাদের নাম তিনিই দিয়েছেন। ইতিহাস থেকে তিনি আমাদের নাম দেন। আমার বড়দার নাম সিরাজউদ্দৌল্লা, তারপরের জনের নাম আলাউদ্দিন, তারপর আমানউল্লাহ। আমার উপরের দাদার নাম আহমেদ বেন বেল্লা।”
সিরাজউদ্দৌল্লা ছিলেন বাংলার শেষ নবাব। আলাউদ্দিন খিলজি ছিলেন দিল্লির সুলতান। আমানউল্লাহ খান ছিলেন আফগানিস্তানের বাদশাহ। আহমেদ বেন বেল্লা ছিলেন বিপ্লবী ও আলজেরিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। আর হুমায়ুন ছিলেন মোঘল সম্রাট। ইতিহাসের পৃষ্ঠা থেকে এই পাঁচজনের নামে হুমায়ুন ও তাঁর চার দাদার নামকরণ করেছিলেন হুমায়ুনের কাকা। ভরতপুরের বিধায়ক বলেন, “আমার বাবা পড়াশোনা কম জানতেন। সাইফুদ্দিন নামে ওই কাকাই সবার নাম রেখেছেন।” নিজের রাজনৈতিক জীবনে হাতেখড়ি নিয়ে হুমায়ুন জানান, ১৯৮২ সালে ২০ বছর বয়সে যুব কংগ্রেসের হাত ধরে রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয় তাঁর।