
রানাঘাট: বঙ্গোপসাগরে চলছিল টহল। আর সেই সময়ই সন্দেহজনকভাবে একটি বাংলাদেশি ট্রলারকে ঘুরতে দেখে কোস্ট গার্ড। ততক্ষণে যদিও তাঁরা ভারত-বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমা লঙ্ঘন করে ফেলেছে। তারপরই পাকড়াও। ইতিমধ্য়েই ২৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে ফ্রেজারগঞ্জ উপকূল থানার পুলিশেক হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এদিনই তোলা হচ্ছে আদালতে। এ নিয়ে চাপানউতোরের মধ্যেই এবার নদিয়ায় সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ১০ জন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ওই এলাকাতেই তাঁরা গা ঢাকা দিয়েছিল বলে জানা যায়। গোপন সূত্রে সেই খবর চলে যায় হাসখালি থানার পুলিশের কাছে। তারপরই পাকড়াও। এদিনই তাঁদের রানাঘাট মহকুমা আদালতে তোলা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, শনিবার রাতেই খবরটা এসে গিয়েছিল হাসখালি থানার পুলিশের কাছে। তারপরই অভিযানের তোড়জোড়। পুলিশ সোজা হানা দেয় সীমান্ত লাগোয়া উমরপুর গ্রামে। সেখান থেকেই ১০ জন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের মধ্যে ৫ জন পুরুষ ও ৫ জন মহিলা রয়েছে।
রবিবার হাসখালি থানার পুলিশ তাঁদের রানাঘাট আদালতে তোলে। বিচারক তাঁদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু এপারে এলেও বাংলাদেশিরা কীভাবে গা ঢাকা দিয়েছিল তা ভাবাতে শুরু করে পুলিশকে। তদন্তে নেমে এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গেও কথাও বলেন তদন্তকারীরা। তখনই জানা যায় এলাকারই কিছু লোকজন তাঁদের আশ্রয় দিয়েছিলেন। বাংলাদেশি নাগরিকদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে ২ জনকেও গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এলাকায় আরও কোনও বাংলাদেশি গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।