Nadia Civic Volunteer: বিজেপির টিকিটে জয়ী সদস্যার স্বামীর সিভিকের চাকরি কেন গেল? জানাল পুলিশ

Nadia news: হঠাৎ এভাবে কাজ থেকে অব্যাহতি হতেই একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কার্তিক হালদার। পুলিশের তরফ থেকেও তাঁকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ তুলছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, শান্তিপুর থানার ওসিও চাপ দিয়েছেন এই নিয়ে।

Nadia Civic Volunteer: বিজেপির টিকিটে জয়ী সদস্যার স্বামীর সিভিকের চাকরি কেন গেল? জানাল পুলিশ
সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ হারালেন নদিয়ার এই ব্যক্তি, পাশে বসে পঞ্চায়েত সমিতিতে জয়ী স্ত্রীImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: Soumya Saha

Sep 11, 2023 | 4:49 PM

শান্তিপুর: নদিয়ার শান্তিপুর থানায় সিভিক ভলান্টিয়ার (Civic Volunteer) হিসেবে কর্মরত ছিলেন কার্তিক হালদার। এবারের পঞ্চায়েত ভোটে তাঁর স্ত্রী সুপর্ণা বর্মণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়েছিলেন পঞ্চায়েত সমিতিতে। জয়ীও হয়েছেন। শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট ২৯টি আসন। তৃণমূল পেয়েছে ১৩টি, বিজেপি জিতেছে ১৬টি। কিছুদিন আগে সেই পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনও করে ফেলেছে বিজেপি। আর এরপরই হঠাৎ করে চাকরি হারালেন ওই সিভিক ভলান্টিয়ার। হঠাৎ এভাবে কাজ থেকে অব্যাহতি হতেই একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কার্তিক হালদার। পুলিশের তরফ থেকেও তাঁকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ তুলছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, শান্তিপুর থানার ওসিও চাপ দিয়েছেন এই নিয়ে।

ওই পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সুপর্ণা বর্মণও অভিযোগ তুলছেন, তিনি বিজেপির হয়ে ভোটে জেতার কারণেই স্বামীর চাকরি গেল। তাঁর বক্তব্য, তিনি পঞ্চায়েত সমিতিতে ভোটে দাঁড়ানোর সময় থেকেই বিভিন্ন ধরনের হুমকি আসছিল তাঁর দিকে। এরপর ভোটে জেতার পর কখনও টাকার প্রলোভন দেওয়া হয়েছে, কখনও আবার প্রাণনাশের হুমকিও মিলেছে বলে অভিযোগ। সুপর্ণা বর্মণের ক্ষোভ, তিনি রাজি না হওয়াতেই স্বামীকে চাকরি হারাতে হয়েছে। এই নিয়ে নদিয়ার রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপার কে কান্নানকে একটি লিখিত অভিযোগও জানিয়েছেন সুপর্ণার স্বামী কার্তিক হালদার।

পুলিশের যে চিঠিটি প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে বলা হচ্ছে সরকারি দায়িত্বে গাফিলতির কারণে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে সার্ভিস থেকে ডিমবিলাইজ করা হয়েছে। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই জেলার রাজনীতিতে তীব্র চাপানউতোর শুরু হয়েছে। বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার যেমন সরাসরি তোপ দেগেছেন শান্তিপুর থানার ওসির বিরুদ্ধে। বলছেন, ওই থানার ওসি ‘তৃণমূলের প্রমোশন’ নিয়ে এসেছেন। ওই ওসিকে তৃণমূলের ‘দলদাস’ বলেও কটাক্ষ করেছেন সাংসদ।

যদিও ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই বলেই দাবি শান্তিপুরের তৃণমূল বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামীর। তাঁর পাল্টা প্রশ্ন,’ওই সিভিক ভলান্টিয়ার একমাস কেন ডিউটি করেননি? কোথায় ছিলেন? প্রশাসনিক চাপ বা শাসক দলের ভয়ে ডিউটি না করলে আগে কেন অভিযোগ জানাননি?’ রাজনৈতিক চক্রান্তের অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।

ঘটনাকে কেন্দ্র করে যখন জেলায় রাজনৈতিক টানাপোড়েন চরমে, তখন এই অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে টিভি নাইন বাংলার প্রতিনিধি ফোনে যোগাযোগ করেছিলেন পুলিশ সুপার কে কান্নানের সঙ্গে। তাঁর বক্তব্য, ওই সিভিক ভলান্টিয়ার কোনও কারণ ছাড়াই কাজে অনুপস্থিত ছিলেন। এর আগেও বিভিন্ন সিভিক ভলান্টিয়ারের ক্ষেত্রে কর্তব্যে গাফিলতির কারণে এমন পদক্ষেপ করা হয়েছে। এটা নতুন কিছু নয়। প্রশাসনিক প্রক্রিয়া মেনেই গোটা বিষয়টি হয়েছে বলে জানাচ্ছেন পুলিশ সুপার।