হাঁসখালি: পাটক্ষেত থেকে উদ্ধার এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার হাঁসখালি থানা এলাকায়। সেখানে শান্তিনগরের ভায়না শ্মশানের কাছেই পাটক্ষেতে পড়ে থাকতে দেখা যায় মৃতদেহটি। নগ্ন অবস্থায় দেহটি পড়েছিল পাটক্ষেতের ভিতরে। বুধবার দুপুরে গ্রামবাসীরাই দেহটিকে প্রথমে দেখতে পান। এরপর দ্রুত খবর দেওয়া হয় হাঁসখালি থানায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে। মৃতের নাম পরিচয় জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। কীভাবে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হল, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন পুলিশকর্মীরা। মাঝবয়সি ওই ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে কি না, সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তদন্তে নেমে সম্ভব্য সব দিকগুলি খতিয়ে দেখছে হাঁসখালি থানার পুলিশ।
এদিকে গ্রামবাসীরাও বলছেন, তাঁরা ওই ব্যক্তিকে আগে কখনও এলাকায় দেখেননি। কীভাবে শ্মশানের কাছে দেহটি এল, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। রঘুনাথ সর্দার নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলছেন, ‘লাশটি চেনা যায়নি। কোথাকার লাশ, তা স্পষ্ট নয়।’ গ্রামবাসীদের সন্দেহ, ওই ব্যক্তিকে কেউ খুন করে থাকতে পারে। কিন্তু বিবস্ত্র অবস্থায় দেহ উদ্ধারের ঘটনায় বেশ কিছু প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। ওই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি, কীভাবে পাটখেতের মধ্যে এলেন, কেউ কি তাঁকে পাটক্ষেতের ভিতরে খুন করল, নাকি অন্য কোথাও খুন করে পাটক্ষেতের মধ্যে ফেলে রেখে যাওয়া হয়েছে? সেই সব দিক খতিয়ে দেখছেন পুলিশকর্মীরা।
বুধবার দুপুরে পাটক্ষেতের মধ্যে এভাবে দেহ পড়ে থাকতে দেখে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গ্রামবাসীদের মধ্যে। কারও মধ্যে মৃত্যুর কারণ নিয়ে কৌতুহল, আবার কারও মনে আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই মৃ্ত্যুর প্রকৃত কারণ বোঝা যাবে।