Nadia: সব অভিযুক্ত এখনও গ্রেফতার হয়নি, আতঙ্কে অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেলেন তামান্নার মা

Tamanna Khatun mother: তামান্নার পরিবারের বক্তব্য, পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় তামান্নার খুনের ঘটনায় অভিযুক্তরা শাস্তি পাবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছে তারা। যাঁরা গ্রেফতার হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই হয়তো জামিনে ছাড়া পেয়ে যাবেন। অভিযুক্তরা জামিনে মুক্তি পেলে আবার হয়তো তাঁদের উপর আক্রমণ হতে পারে বলে আশঙ্কা তাড়া করে বেড়াচ্ছে।

Nadia: সব অভিযুক্ত এখনও গ্রেফতার হয়নি, আতঙ্কে অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেলেন তামান্নার মা
ফাইল ফোটোImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Dec 31, 2025 | 9:51 AM

নদিয়া: মাস ছয়েক আগে মেয়েকে হারিয়েছেন তিনি। তৃণমূলের বিজয়োৎসব থেকে ছোড়া বোমাতে মৃত্যু হয় তাঁর নাবালিকা কন্যার। কিন্তু, এখনও সব অভিযুক্ত ধরা পড়েনি। এই নিয়েই মানসিক চাপে ছিলেন। এবার অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হল তামান্না খাতুনের মাকে। তিনি এখন শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মেয়ের খুনের ঘটনার পর পুলিশের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট ও মানসিক চাপ না নিতে পারায় কারণে এমন ঘটনা বলে দাবি পরিবারের।

চলতি বছরের ২৩ জুন নদিয়া কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে ফল বেরোয়। বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন তৃণমূল প্রার্থী আলিফা আহমেদ। ওইদিন তৃণমূলের বিজয়োৎসব থেকে ছোড়া বোমায় মৃত্যু হয় তামান্নার। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত সব অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়নি। আদালতে চলছে মামলা।

তামান্নার পরিবারের বক্তব্য, পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় তামান্নার খুনের ঘটনায় অভিযুক্তরা শাস্তি পাবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছে তারা। যাঁরা গ্রেফতার হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই হয়তো জামিনে ছাড়া পেয়ে যাবেন। অভিযুক্তরা জামিনে মুক্তি পেলে আবার হয়তো তাঁদের উপর আক্রমণ হতে পারে বলে আশঙ্কা তাড়া করে বেড়াচ্ছে। অভিযোগ, অভিযুক্তদের হয়ে বিভিন্ন দিক থেকে আসছে লাগাতার হুমকি। এই আতঙ্কে মানসিক চাপে ভুগছিলেন তামান্নার মা সাবিনা ইয়াসমিন। পরিবারের বক্তব্য, সেই চাপ নিতে না পেরে রাতে খাবার পর অতিরিক্ত কয়েকটি ঘুমের ওষুধ খেয়ে নেন তিনি। রাতেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় পলাশী মীরা গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে। বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে।

তামান্নার কাকা রবিউল শেখ বলেন, “মেয়ের মৃত্যুর পর থেকেই শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন তামান্নার মা। ওষুধপত্র খান। ২৪ জন অভিযুক্তের মধ্যে অনেকেই বাইরে আছে। আবার যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা জামিন পেলে হামলা করতে পারে বলে আশঙ্কা। এই নিয়ে উনি আতঙ্কে রয়েছেন। চাপে রয়েছে। তারই জেরে গতকাল রাতে অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে নেন। অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারপরই আমরা হাসপাতালে নিয়ে আসি।”