Girl Child: এক মাসের শিশুকন্যাকে বিক্রির চেষ্টার অভিযোগ মায়ের বিরুদ্ধে, মানতে নারাজ পরিবার
Nadia: অভিযুক্ত গৃহবধূ জানান, অর্থের অভাব সংসারে। কোনওভাবে দিন চলে। অনেকগুলো টাকা দেনাও হয়ে গিয়েছে বাজারে। সে কারণেই বাচ্চাদের মানুষ করতে পারবেন না বলে একজনকে নিজেরই এক আত্মীয় হাতে তুলে দেবেন ভেবেছিলেন। বাচ্চাটির ঠাকুমার দাবি, জায়ের কাছে বাচ্চাটি দেওয়ার কথা হয়।
নদিয়া: সংসারে অর্থের অভাব। পর পর দুই কন্যা সন্তান হওয়ায় সংসারে অশান্তি লেগে থাকত রোজই। অভিযোগ, এরপরই এক শিশুকন্যাকে বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা করেন মা। শান্তিপুর পুরএলাকার ঘটনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পুরসভার চেয়ারম্যান। অভিযুক্ত মা, বাবাকে আটক করে পুলিশ। যদিও বিক্রির অভিযোগ মানতে চাননি অভিযুক্ত মহিলার মা। তাঁর দাবি, অভাবের সংসার। তাই অন্যের কাছে বাচ্চাটিকে বড় করার দায়িত্ব দিতে চেয়েছিলেন মাত্র। এর বাইরে আর কিছুই না।
অভিযুক্ত গৃহবধূ জানান, অর্থের অভাব সংসারে। কোনওভাবে দিন চলে। অনেকগুলো টাকা দেনাও হয়ে গিয়েছে বাজারে। সে কারণেই বাচ্চাদের মানুষ করতে পারবেন না বলে একজনকে নিজেরই এক আত্মীয়র হাতে তুলে দেবেন ভেবেছিলেন।
বাচ্চাটির ঠাকুমার কথায়, “বৌমা বলছে ছোট বাচ্চাকে কাউকে দিয়ে দেবে। কিছু দেনা হয়ে গিয়েছে ছেলের। ছেলে তাও বলেছে, দেনা শোধ হতে তেমন কোনও অসুবিধা হবে না। আসতে আসতে মিটিয়ে দেব দেনা। বৌমা ছোট বাচ্চাটাকে রাখতেই চাইছিল না। কেন রাখতে চায় না জানি না। তবে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ সত্যি না।” বাচ্চাটির ঠাকুমার দাবি, জায়ের কাছে বাচ্চাটি দেওয়ার কথা হয়।
কিন্তু অভিযোগ, উকিলের কাছেও গিয়েছিলেন অভিযুক্ত মা। এ বিষয়ে পরিবারের দাবি, বিক্রির জন্য নয়, বাচ্চাটিকে বড় করলে পরে যাতে আবারও জন্মদাত্রী মা দাবি না করেন, তাই লিখিয়ে পড়িয়ে নিচ্ছিলেন। যদিও পুরসভার চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষের দাবি, হঠাৎই তিনি জানতে পারেন এলাকার এক গৃহবধূ এক মাসের শিশু কন্যাকে বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তাঁর এক বছরের আরও একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। খবর পেয়ে নিজে যান ওখানে। এরপর হইহই শুরু হয় এলাকায়।