Ranaghat-Ashmika: অবশেষে ১৬ কোটির ইনজেকশন পাচ্ছে রানাঘাটের অস্মিকা, বিরল রোগ থেকে মিলবে মুক্তি!

Ranaghat-Ashmika: দীর্ঘদিন ধরে সেই টাকা সংগ্রহ করার কাজ চলছিল। অনেক রাজনৈতিক নেতা-নেত্রী, শিল্পী ব্যক্তিগতভাবে অস্মিকার জন্য টাকা দিয়েছেন। তবে কোটি কোটি টাকা সংগ্রহ করা বেশ কঠিন ছিল পরিবারের কাছে।

Ranaghat-Ashmika: অবশেষে ১৬ কোটির ইনজেকশন পাচ্ছে রানাঘাটের অস্মিকা, বিরল রোগ থেকে মিলবে মুক্তি!
রানাঘাটের অস্মিকাImage Credit source: TV9 Bangla

May 20, 2025 | 8:38 AM

রানাঘাট: অবশেষে ইনজেকশন পেতে চলেছে রানাঘাটের ছোট্ট অস্মিকা। বিরল রোগে আক্রান্ত এই শিশুর চিকিৎসার জন্য বিপুল টাকার প্রয়োজন ছিল। পরিবারের পক্ষে সেই টাকা জোগাড় করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। অনেকেই অস্মিকার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল। অবশেষে ‘মাতৃ সেনা’র ৬০ লক্ষ টাকা অনুদানে সম্পূর্ণ হল ইনজেকশনের প্রথম কিস্তির টাকা।

জন্মের কিছুদিন পরই জানা যায় রানাঘাটের শুভঙ্কর দাসের ছোট্ট মেয়ে অস্মিকা বিরল রোগে আক্রান্ত। চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ছিল প্রায় ১৬ কোটি টাকা দামের একটি ইনজেকশন। প্রথম কিস্তিতে ৯ কোটি টাকা দিলে পাওয়া যাবে বিরল সেই ইনজেকশন। বিদেশ থেকে আনিয়ে সেই ইনজেকশন দেওয়া হবে।

দীর্ঘদিন ধরে সেই টাকা সংগ্রহ করার কাজ চলছিল। অনেক রাজনৈতিক নেতা-নেত্রী, শিল্পী ব্যক্তিগতভাবে অস্মিকার জন্য টাকা দিয়েছেন। সোমবার ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়িতে ‘মাতৃ সেনা চ্যারিটেবল ট্রাস্টে’র পক্ষ থেকে ৬০ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেওয়া হল অস্মিকার পরিবারের হাতে।

সোমবার অস্মিকার পরিবারের হাতে চেক তুলে দেন মাতৃসেনার সভানেত্রী সোমা ঠাকুর। উপস্থিত ছিলেন ‘অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘে’র সঙ্ঘাধিপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর।

অস্মিকার বাবা শুভঙ্কর দাস জানিয়েছেন, প্রথম কিস্তিতে ৯ কোটি টাকা জমা দিলে ইনজেকশনটা পাওয়া যাবে। এদিন ৬০ লক্ষ টাকা পাওয়ায় সেই ৯ কোটি টাকা সম্পূর্ণ হল। তিনি আশা করছেন, সমস্ত কাগজপত্রের কাজ মিটিয়ে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে মেয়েকে ইনজেকশন দিতে পারবেন। যাঁরা যাঁরা অস্মিকার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন, তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে সঙ্গীতশিল্পী কৈলাশ খের, অস্মিকার জন্য সাহায্য়ের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন অনেকেই।

মাতৃসেনা চ্যারটেবল ট্রাস্টের সভানেত্রী সোমা ঠাকুর জানান, অস্মিকার সমস্যার কথা জানতে পেরে ট্রাস্টের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরকেও বিষয়টি দেখতে বলেন। এরপরই সংগ্রহ হয় টাকা। ইনজেকশন নিয়ে অস্মিকা আর পাঁচজন শিশুর মতোই বড় হয়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।