নদিয়া: মধ্যরাতে বিজেপি কর্মীর বাড়িতে ঢুকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে নৃশংসভাবে মারধর। শুধু তাই নয়, মারধরের পর রাতভর বাড়ির বাইরে অপেক্ষা করল দুষ্কৃতীরা, যাতে জখম বিজেপি কর্মীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া না যায়। অভিযুক্তদের ভয়ে রাতে জখম যুবককে চিকিৎসা করাতে নিয়ে যেতে পারেননি বলে দাবি পরিবারের। বৃহস্পতিবার হাসপাতালে নিয়ে গেলে সঞ্জয় ভৌমিক নামে ওই যুবকের মৃত্যু হয়। স্থানীয় বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, অভিযুক্তরা সকলেই তৃণমূল কর্মী ও সমর্থক। পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় নবদ্বীপ থানায়। ঘটনাটি নদিয়ার নবদ্বীপ পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাচীন মায়াপুরে।
জানা গিয়েছে, বুধবার বিশ্বকর্মা পূজার রাতে নবদ্বীপের প্রাচীন মায়াপুর নতুন পাড়ার বাসিন্দা সঞ্জয় ভৌমিক বাড়ি ফিরছিলেন। তখন এলাকায় ঝামেলা চলছিল। তিনি বাধা দিতে গেলে তাঁর সঙ্গে বচসা বাধে। এরপর বাড়ি ফিরে রাতে বাড়িতে ঘুমোচ্ছিলেন। পরিবারের অভিযোগ, সেই সময় জয় রায়, তারক দেবনাথ, নান্টু ও ঝন্টু-সহ স্থানীয় বেশ কয়েকজন তাঁদের বাড়িতে ঢুকে সঞ্জয়কে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। বাধা দিতে গেলে সঞ্জয়ের মাকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ পরিবারের।
রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়িতেই পড়ে থাকেন সঞ্জয়। পরিবারের দাবি, ঘটনার পর অভিযুক্তরা বাড়ি ঘেরাও করে রেখেছিলেন, যাতে সঞ্জয়কে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া না যায় এবং থানায় অভিযোগ জানাতে না পারেন তাঁরা। পরে অভিযুক্তরা চলে গেলে সঞ্জয়কে নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি কল্যাণী এইমসে ময়নাতদন্ত করার জন্য পুলিশের কাছে আবেদন করা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, অভিযুক্তদের মধ্যে নবদ্বীপের তৃণমূলের বিধায়কের গাড়ির চালক তারক দেবনাথও রয়েছেন। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাদের দলের কর্মীকে খুন করেছে। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানায় তারা।
পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে নবদ্বীপ থানার পুলিশ। যদি এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র তন্ময় ঘোষ বলেন, “অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। এই ঘটনায় যারা জড়িত প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। তৃণমূলের কংগ্রেসের এরকম কিছু করার দরকার আছে বলে মনে করি না। কারণ, রাজনৈতিকভাবে আমরা লড়াই করি। বিজেপির লোকদের মারতে হবে, এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। তারা এমনিতেই ভোটে হারবে। তাদের মারার কি প্রয়োজন রয়েছে? এই সংস্কৃতিতে তৃণমূল বিশ্বাস করে না।”
নদিয়া: মধ্যরাতে বিজেপি কর্মীর বাড়িতে ঢুকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে নৃশংসভাবে মারধর। শুধু তাই নয়, মারধরের পর রাতভর বাড়ির বাইরে অপেক্ষা করল দুষ্কৃতীরা, যাতে জখম বিজেপি কর্মীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া না যায়। অভিযুক্তদের ভয়ে রাতে জখম যুবককে চিকিৎসা করাতে নিয়ে যেতে পারেননি বলে দাবি পরিবারের। বৃহস্পতিবার হাসপাতালে নিয়ে গেলে সঞ্জয় ভৌমিক নামে ওই যুবকের মৃত্যু হয়। স্থানীয় বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, অভিযুক্তরা সকলেই তৃণমূল কর্মী ও সমর্থক। পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় নবদ্বীপ থানায়। ঘটনাটি নদিয়ার নবদ্বীপ পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাচীন মায়াপুরে।
জানা গিয়েছে, বুধবার বিশ্বকর্মা পূজার রাতে নবদ্বীপের প্রাচীন মায়াপুর নতুন পাড়ার বাসিন্দা সঞ্জয় ভৌমিক বাড়ি ফিরছিলেন। তখন এলাকায় ঝামেলা চলছিল। তিনি বাধা দিতে গেলে তাঁর সঙ্গে বচসা বাধে। এরপর বাড়ি ফিরে রাতে বাড়িতে ঘুমোচ্ছিলেন। পরিবারের অভিযোগ, সেই সময় জয় রায়, তারক দেবনাথ, নান্টু ও ঝন্টু-সহ স্থানীয় বেশ কয়েকজন তাঁদের বাড়িতে ঢুকে সঞ্জয়কে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। বাধা দিতে গেলে সঞ্জয়ের মাকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ পরিবারের।
রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়িতেই পড়ে থাকেন সঞ্জয়। পরিবারের দাবি, ঘটনার পর অভিযুক্তরা বাড়ি ঘেরাও করে রেখেছিলেন, যাতে সঞ্জয়কে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া না যায় এবং থানায় অভিযোগ জানাতে না পারেন তাঁরা। পরে অভিযুক্তরা চলে গেলে সঞ্জয়কে নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি কল্যাণী এইমসে ময়নাতদন্ত করার জন্য পুলিশের কাছে আবেদন করা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, অভিযুক্তদের মধ্যে নবদ্বীপের তৃণমূলের বিধায়কের গাড়ির চালক তারক দেবনাথও রয়েছেন। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাদের দলের কর্মীকে খুন করেছে। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানায় তারা।
পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে নবদ্বীপ থানার পুলিশ। যদি এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র তন্ময় ঘোষ বলেন, “অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। এই ঘটনায় যারা জড়িত প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। তৃণমূলের কংগ্রেসের এরকম কিছু করার দরকার আছে বলে মনে করি না। কারণ, রাজনৈতিকভাবে আমরা লড়াই করি। বিজেপির লোকদের মারতে হবে, এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। তারা এমনিতেই ভোটে হারবে। তাদের মারার কি প্রয়োজন রয়েছে? এই সংস্কৃতিতে তৃণমূল বিশ্বাস করে না।”