
নদিয়া: বাবা জমিতে কাজে গিয়েছিল। বাড়িতে ছিল মা। এরইমধ্যে শোনা যায় খোঁজ মিলছে না বাড়ির ৩ বছরর শিশুর। খবর চাউর হয় গোটা এলাকায়। আহাদ মণ্ডল নামে শিশুটির খোঁজে এ পাড়া ও পাড়ায় ঘুরে বেড়ান স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু, কিছুতেই খোঁজ মেলা না শিশুটির। এরইমধ্যে শিশুটির মা বলে বাচ্চাটি নাকি পুকুরে পড়ে রয়েছে। যদিও তাঁর গতিবিধি দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। অসংলগ্ন কথাও বলতে থাকেন বলে অভিযোগ। কেউ কেউ বলতে থাকেন ওই মহিলাই শিশুটিকে পুকুরে ফেলে দিয়েছেন। খবর যায় পুলিশে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে নদিয়ার চাপড়ায়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে চাপড়া থানার পুলিশ। খোঁজ চলে পুকুরে। শেষে পুকুর থেকেই শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। দ্রুত তাকে চাপড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসকেরা শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিকে মৃত্যুর খবর ছড়াতেই এলাকার বাসিন্দারা শিশুটির মাকে উদ্দেশ্য করে নানাবিধ তিরস্কার শুরু করে। ব্যাপক শোরগোল শুরু হয় এলাকায়। মৃত্যুর জন্য তাঁকেই দায়ী করা হয়। এরইমধ্যে মৃত শিশুটির মাকে আটক করে পুলিশ। কীভাবে শিশুটি পুকুরে গেল, ঘটনার সঙ্গে তার কোনও যোগ আছে কিনা তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দা বিকাশ মণ্ডল বলেন, “অনেকেরই বাড়িতেই খোঁজ চলে। কিন্তু, কোথাও খোঁজ পাওয়া যায়নি। এরইমধ্যে বাচ্চাটির মা বলে পুকুরে গেলে বাচ্চাটিকে খুঁজে পাওয়া যাবে। বাচ্চাটাকে তোলার পর বাড়িতে গেলে দেখা যায় বাড়িতে আর ওর মা নেই। যা মনে হচ্ছে ওই মহিলাই বাচ্চাটিকে মেরে জলে ফেলে দিয়েছে। আমরা ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। বাচ্চাটির মাকে ইতিমধ্যেই আটক করেছে পুলিশ।”