
কালীগঞ্জ: তৃণমূলের জয়ের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভয়াবহ ঘটনা নদিয়ার কালীগঞ্জে। বোমার আঘাতে মৃত্যু হল এক শিশুকন্যার। অভিযোগ, তৃণমূলের বিজয়োল্লাস থেকেই বোমা ছোড়া হচ্ছিল। তাতেই ওই শিশুর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। মৃতদেহ উদ্ধার করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার সকাল থেকেই এগিয়ে ছিল তৃণমূল। শেষ পর্যন্ত মোট ৪৯ হাজার ১৪৩ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ। এরপরই এলাকা জুড়ে শুরু হয়ে তৃণমূলের বিজয়োল্লাস। সবুজ আবীর মেখে জয় উদযাপন করছিলেন তৃণমূলকর্মীরা। তার মাঝেই উঠল বড় অভিযোগ।
নদিয়ার কালীগঞ্জের মেলেন্দি এলাকার ঘটনা। তামান্না খাতুন নামে ওই শিশু বাড়ি ফিরছিল, সেই সময় আচমকা ছোড়া বোমার আঘাতে তার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। ওই শিশুকন্যা চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত বলে জানা গিয়েছে। আরও অভিযোগ উঠেছে যে, এদিন এলাকার এক সিপিএম সমর্থকের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হচ্ছিল।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এক্স মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘আমি এই ঘটনায় মর্মাহত। মৃতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। আইনি পথে পদক্ষেপ করুক পুলিশ। অভিযুক্তদের যত দ্রুত সম্ভব গ্রেফতার করতে হবে।’
I am shocked and deeply saddened at the death of a young girl in an explosion at Barochandgar in Krishnanagar police district. My prayers and thoughts are with the family in their hour of grief.
Police shall take strong and decisive legal action against the culprits at the…
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) June 23, 2025
এই ঘটনায় শাসক দলের কড়া নিন্দা করেছে বিজেপি। বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এ কেমন বিজয়োল্লাস যে এভাবে বোমা ছুড়তে হয়। বিজেপি জিতলে চকোলেট বোমা বা কালীপটকা ফাটানো হয়। তাই বলে বোমা!”
এদিকে, তৃণমূলের দাবি, বিজয় মিছিলের পিছন থেকে আদতে বোমা ছুড়েছে বিজেপিই। তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “আমাদের সন্দেহ মিছিল করছিল তৃণমূল, কিন্তু পিছন থেকে বোমা ছুড়েছে বিজেপি। বিজেপির তো বোমার অভাব নেই।”
চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্রীর মৃত্যুতে রিপোর্ট চাইল নির্বাচন কমিশন। ভবিষ্যতে, নির্বাচনের গণনা এবং বিজয় মিছিলের ক্ষেত্রে কী কী সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করবে নির্বাচন কমিশন। ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের আগেই এই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে কমিশন সূত্রের খবর।