নদিয়া: নদিয়ার ফুলিয়াতে সভা ছিল বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। সেই সভার জন্য টাকা চাওয়া হয় এলাকার বেশ কিছু ব্যবসায়ীর থেকে। টাকা দিতে অস্বাকীর করলে ব্যবসায়ীকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ বিজেপির মণ্ডল সভাপতির বিরুদ্ধে। থানার দ্বারস্থ নির্যাতিত ব্যবসায়ী। অভিযোগ পেয়ে মণ্ডল সভাপতিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনায় জোর শোরগোল জেলার রাজনৈতিক মহলে। বিতর্কের আবহে বিজেপিকে তোপ দেগেছে তৃণমূল।
এ প্রসঙ্গে ব্যবসায়ী সুজন জোয়ারদ্দার বলছেন, “বাঁশতলাপাড়ায় মণ্ডল সভাপতির বাড়ির সামনে দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলাম। তখনই বিজেপির স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য-সহ বেশ কয়েকজন আমার পথ আটকায়। শুভেন্দু অধিকারীর সভার জন্য মোটা টাকা দাবি করা হয়।” কিন্তু, পার্টি ফান্ডে টাকা দিতে অস্বীকার করেন তিনি। অভিযোগ, তারপরই তাঁকে বাঁশ, ইট, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়।
যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপি নেতা প্রদীপ সরকার। তিনি বলছেন, “রাস্তায় তো কাল ওর সঙ্গে দু’জনের বচসা হচ্ছিল। সেটা দেখেই থামাতে গিয়েছিলাম। সবই মিথ্যা অভিযোগ।”
দলের কর্মীর পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপির এসসি মোর্চার নদিয়া জেলার সাধারণ সম্পাদক পিন্টু কর্মকার বলেন, “এটা তৃণমূল নয় যে তোলাবাজি হবে। ব্যক্তিগত, ব্যবসায়িক বিষয়ে রাজনীতি জুড়ে দিয়ে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।” তবে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি শাসকদল। নদিয়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক তপন সরকার বলেন, “ছোট বা বড়, যে কোনও প্রোগ্রামে ওরা যা টাকা খরচ করে, তার থেকে দশ গুণ টাকা তোলে। ওই ব্যবসায়ীকে তো সাহস করে এগিয়ে আসার জন্য সাধুবাদ জানাই। আমার বিশ্বাস আগামীতে বাকিরাও প্রতিবাদ করবে।”