মায়াপুর: মূলত ইসকন মন্দিরের জন্যই বিখ্যাত মায়াপুর। প্রতিনিয়ত বহু মানুষ তীর্থযাত্রীর হিসেবে যান মায়াপুরে। হোটেলগুলিতেও থাকে ভিড়। সেরকম একটি হোটেলেই ঘটে গেল চাঞ্চল্যকর ঘটনা। সাত সকালে হোটেলের কর্মীরা সাফাই করার জন্য হোটেলের ঘরগুলিতে যান। একটি ঘরের কাছে গিয়ে দেখেন, বাইরে থেকে ছিটকি চানা অথচ তালা দেওয়া নেই। ওই ঘরে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা কোথায় গেলেন তা বুঝে উঠতে পারেননি কর্মীরা। সন্দেহ হওয়ায় দরজা খোলেন তাঁরা। ভিতরে তখন অন্ধকার। আলো জ্বালতেই চমকে গেলেন কর্মীরা।
হোটেলের ওই ঘরের মধ্যে পড়েছিল মহিলার দেহ। বিছানার ওপর অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় মহিলাকে। আর তাঁর স্বামীকে কোথাও দেখা যায়নি। এরপর পুলিশকে খবর দেওয়া হয় হোটেলের তরফে। হোটেলের ম্যানেজার জানান, তাঁরা কেউ মহিলার গায়ে হাত দেননি। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা মহিলাকে মৃত বলে ঘোষণা করেছেন।
এটা খুন না অন্য কোনও ঘটনা, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ প্রথম চোখে পড়ে ওই ঘটনা। মায়াপুর ঘাট সংলগ্ন পঞ্চায়েত সমিতি পরিচালিত নীলাচল লজের সামনে হোটেল অন্নপূর্ণা লজে ছিলেন ওই দম্পতি। হোটেলের ম্যানেজার জানিয়েছেন, শুক্রবারই ঘরটিতে থাকতে এসেছিলেন ওই দম্পতি। পরিচয়পত্রও জমা দিয়েছিলেন নিয়ম মেনে। কিন্তু এমন একটি ঘটনা ঘটে যাওয়ায় তাঁরা হতবাক। ওই মহিলার স্বামীকে বেরতে দেখেননি কেউ। ম্যানেজারের দাবি, তাঁরা সকালে নিজেদের কাজে ব্যস্ত ছিলেন, সেই সময় বেরিয়ে গিয়ে থাকতে পারেন ওই ব্যক্তি। মৃতার নাম মীনা বিশ্বাস, তাঁর স্বামীর নাম বিদ্যুৎ বিশ্বাস। বিদ্যুৎ বিশ্বাস আংশিক দৃষ্টিহীন বলে জানা গিয়েছে। নদিয়ার ধানতলার বাসিন্দা ছিল ওই দম্পতি।