
কল্যাণী: বুধবার রাজ্যে এসেছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। গিয়েছিলেন দক্ষিণেশ্বর মন্দিরেও। তারপর সেখান থেকেই তিনি পৌঁছে যান কল্যাণী এইমসে। সেখানে প্রথমবার আয়োজিত সমাবর্তন অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যেই গিয়েছিলেন তিনি। ৪৮ জন MBBS-এর উত্তীর্ণ চিকিৎসক ও ৯ জন স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ চিকিৎসকদের হাতে তাদের ডিগ্রির শংসাপত্র তুলে দেন তিনি।
এদিন সদ্য উত্তীর্ণ মেডিক্য়াল পড়ুয়াদের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি বলেন, “কল্যাণী এইমসকে জাতীয় স্তরে তুলে ধরার দায়িত্ব তার পড়ুয়াদেরই। তাদের নিজেদের জীবন দরিদ্র ও নিপীড়ত মানুষের সেবায় নিয়োজিত করা অন্যতম কর্তব্য।” এরপরেই রাষ্ট্রপতির মুখে শোনা যায় চৈতন্য প্রভু থেকে রাজ্যের প্রথম তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ের কথাও।
তাঁর সংযোজন, “কল্যাণীর মাটিতে অনেক মহান ব্যাক্তিত্বের জন্ম হয়েছে। এই এইমসকেও সেই ধারা বজায় রাখতে হবে। উত্তীর্ণ চিকিৎসকদের তাদের রোগীদের সঠিক জীবনধারা বজায় রাখার নির্দেশনা ও পরামর্শ দিতে হবে। এটাই তাদের গুরু দায়িত্ব।”
কল্যাণী শহরের প্রতিষ্ঠাতা স্বাধীন ভারতের অন্তর্গত বাংলার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়। বর্তমানে ‘তথ্য-প্রযুক্তি’ পাড়া সল্টলেকের মতোই যত্ন সহকারে এই শহরের পরিকাঠামো তৈরি করেন তিনি। যা একটা বৃহৎ শিল্পাঞ্চলেরও অংশ। বুধবার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সেই উদ্দ্যোগের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বিধানচন্দ্র রায় এই শহরের শিলান্যাস করেছিলেন। এর পরিকাঠামো এতটা উন্নত করেছিলেন। তিনি প্রচুর মানুষকেও বিনামূল্যেই চিকিৎসা প্রদান করেছেন। আমার বিশ্বাস পড়ুয়ারাও সেই পথেই চলবেন।’
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে তৈরি হওয়া কল্যাণী এইমস-এর এটিই প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠান। যেখানে রাষ্ট্রপতি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী প্রতাপরাও যাদব, জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও কল্যাণী এইমস-এর কার্যনির্বাহী কর্তা ডাক্তার রণজিৎ সিং।