
পলাশিপাড়া: পারিবারিক বিবাদের জেরে ভয়ঙ্কর ঘটনা। ধারাল অস্ত্র দিয়ে বউমাকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল শ্বশুরের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য পলাশিপাড়া থানার গোপীনাথপুর পঞ্চায়েতের কৃষ্ণনগর এলাকায়। এখানেই বাড়ি শম্পা বিশ্বাসের। তাঁর সঙ্গেই কাকা শ্বশুর সুফল বিশ্বাসের সঙ্গে বিবাদ দীর্ঘদিনের। স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন ফের সেই বিবাদ চরমে ওঠে। অভিযোগ, তখনই সুফল বিশ্বাস ধারাল অস্ত্রের কোপ বসিয়ে দেন শম্পা বিশ্বাসের গলায়। তাঁদের চিৎকার-চেঁচামেঁচি শুনে ততক্ষণে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়ে গিয়েছেন।
শম্পা দেবীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পলাশিপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। সেখানেই কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে দেন। এদিকে ঘটনার পর থেকে আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না অভিযুক্তের। এদিকে উত্তেজনার মাঝেই খবর চলে যায় পুলিশের কাছে। ছুটে আসে পলাশিপাড়া থানার পুলিশ। অভিযুক্তের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। একইসঙ্গে মৃতদেহ উদ্ধার করে শক্তিনগর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।
কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মৃতার স্বামী। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন তিনি। বাকি পরিজনদেরও একই কথা। সকলেই চাইছেন দ্রুত অভিযুক্তকে খুঁজে বের করুক পুলিশ। মৃতার দেওর অনুপ বিশ্বাস বলছেন, “কাল থেকেই অশান্তি হচ্ছিল। আজও তার রেশ ছিল। দু এক কথা হতে হতেই কাকা ঘর থেকে দা নিয়ে এসে ওর গলায় বসিয়ে দেয়। এ ঘটনা দেখে প্রথমে বাড়ির লোকজন ছুটে এসে ওকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তারপর তো পুলিশেও খবর যায়। পুলিশও আসে।”