Nadia: শয়ে শয়ে টিনে ভরা গুড় আসলে মিষ্টির দোকানের পচা রস আর স্যাফোলাইট!
Nadia: চাকদহ থানার পুলিশ ও খাদ্য নিরাপত্তা আধিকারিকরা যৌথ উদ্যোগে নদিয়ার চাকদহ থানার অন্তর্গত শিমুরালির সুতারগাছিতে একটি গুড় কারখানায় অভিযান চালান।

নদিয়া: কারখানায় সারি দেওয়া গুড়ের টিন। সাধারণ মানুষের জন্য বাজারে বিক্রিও হবে সেগুলো। কিন্তু তার আগেই হাতেনাতে ধরা পড়ে গেল কারখানার মালিক। গুড়ের নামে এ কী বিক্রি হচ্ছে! দেখেই মাথায় হাত খাদ্য সুরক্ষা দফতরের আধিকারিকদের। টিনগুলি উদ্ধার করার পাশাপাশি একজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
পুলিশ ও খাদ্য দফতরের যৌথ উদ্যোগে ভেজাল গুড় কারখানায় অভিযান চলে বৃহস্পতিবার। উদ্ধার কয়েকশ টিন ভেজাল গুড়। উদ্ধার করা হয়েছে, চিনির সিরাপ ও রাসায়নিক পদার্থও। গ্রেফতার করা হয়েছে ওই কারখানার মালিককে।
এদিন চাকদহ থানার পুলিশ ও খাদ্য নিরাপত্তা আধিকারিকরা যৌথ উদ্যোগে নদিয়ার চাকদহ থানার অন্তর্গত শিমুরালির সুতারগাছিতে একটি গুড় কারখানায় অভিযান চালান। গুড়ের মধ্যে নানা ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য রয়েছে বলে অভিযোগ। এই খবর পেয়েই এদিন অভিযান চালানো হয় এদিন।
বর্জ্য বা ফেলে দেওয়া মিষ্টির রস উদ্ধার হয়েছে ২৪ টিন। মিলেছে, ২৭৯ টিন ভেজাল গুড় এবং ২৫০ গ্রাম রাসায়নিক। খাদ্য সুরক্ষা অফিসাররা ওই রাসায়নিককে স্যাফোলাইট হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
রাজেশ কুমার সা নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে নিয়ে যায় চাকদহ থানার পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে খাদ্যে ভেজাল ও প্রতারণা সংক্রান্ত ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, আখের রসের বদলে মিষ্টির দোকানের ফেলে দেওয়া রস ব্যবহার করে গুড় বানানো হচ্ছিল। মেশোনো হচ্ছিল রাসায়নিক।
