Nadia: চুরি করতে এসে বাধা, প্রাক্তন শিক্ষককে ছুরির আঘাত, পালাতে গিয়ে সেই রক্তেই পিছলে পড়ল চোর, পরের ঘটনা জানলে মাথায় হাত পড়বে

Nadia: জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নদিয়ার মীরা কদমতলা এলাকার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নরেশ বৈদ্যের বাড়িতে চুরি করতে ঢোকে দুষ্কৃতীরা। সন্ধ্যার কিছু পরেই বাড়ির ভিতর ঢুকে পড়ে চোর। সেই সময় বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন বৃদ্ধ নরেশবাবু ও তাঁর পুত্র।

Nadia: চুরি করতে এসে বাধা, প্রাক্তন শিক্ষককে ছুরির আঘাত, পালাতে গিয়ে সেই রক্তেই পিছলে পড়ল চোর, পরের ঘটনা জানলে মাথায় হাত পড়বে
এ কী কাণ্ডImage Credit source: Tv9 Bangla

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Jun 11, 2025 | 3:23 PM

নদিয়া: ভয়াবহ ঘটনা নদিয়ায়। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের বাড়িতে চুরির চেষ্টা। বাধা পেয়ে ধারাল অস্ত্রের কোপ। দুষ্কৃতীদের অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত পুরো পরিবার। চুরি করে তড়িঘড়ি পালাতে গিয়ে সেই রক্তে পা পিছলে সিঁড়ি থেকে পড়ে যায় চোর। তখনই ধরে ফেলে জনতা। হাসপাতালে গুরুতর জখম অবস্থায় চিকিৎসাধীন বাড়ির মালিক ও চোর। ঘটনাটি ঘটেছে পলাশী মীরা কদমতলা এলাকায়।

জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নদিয়ার মীরা কদমতলা এলাকার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নরেশ বৈদ্যের বাড়িতে চুরি করতে ঢোকে দুষ্কৃতীরা। সন্ধ্যার কিছু পরেই বাড়ির ভিতর ঢুকে পড়ে চোর। সেই সময় বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন বৃদ্ধ নরেশবাবু ও তাঁর পুত্র। তাঁরা বাড়ির ভেতর শব্দ পেয়ে চোরকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। এরপর শুরু হয় ধস্তাধস্তি।

স্থানীয় সূত্রে খবর, চোর মারধর করে নরেশ ও তাঁর ছেলেকে। আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন দুই জনেই। কিন্তু অভিযুক্ত তখন ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু রক্তে পা পিছলে যায় তার। সেই সময় চোর নিজেও আঘাত পায়। গোটা ঘটনার ফলে বাড়ির আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। খবর পেয়ে মীরা পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। চোর-সহ আহত তিনজনকে উদ্ধার করে মীরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা হয়।

সুরেশ আগরওয়াল, প্রতিবেশী বলেন, “নরেশবাবু আর তার ছেলে ছিলেন। ওদের বাড়িতে চোর ঢুকে এলোপাথাড়ি চাকু মারে। মাস্টারমশাইয়ের মাথা ঠুকে দেয়। তারপর রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে দুজনই লুটিয়ে পড়েন। এবার চোর পালাতে গিয়ে সেও পড়ে যায়। এরপর পলাসী এলাকার কয়েকজন ছেলেমিলে ওদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখন শুনছি যাঁরা আহত তাঁরা হাসপাতালে শুয়ে থাকবেন। আর পুলিশ চোরকে আগে বহরমপুরে নিয়ে যাবে।”