
নদিয়া: ফের হোটেল থেকে যুবতীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। এবার ঘটনাস্থল নদিয়া। নদিয়ার হরিণঘাটা এলাকায় একটি হোটেল থেকে এদিন জুটিকা চক্রবর্তী (৩০) নামে এক যুবতীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃত্যু ঘিরে দানা বেঁধেছে রহস্য। সূত্রের খবর, অমিত শূর নামে এক বন্ধুর সঙ্গে হোটেলের ১০১ নম্বর ঘরটি বুক করেছিলেন জুটিকা। প্রশ্নের মুখে অমিতের ভূমিকাও। ইতিমধ্যেই তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
এদিকে জুটিকার আকস্মিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে পরিবারে। আচমকা মৃত্যুর খবরে থ সকলেই। কী করে মৃত্যু হল তা বুঝতে পারছেন না কেউই। অনেকেই বলছেন পিছনে হাত রয়েছে অমিতেরই। তাঁর কঠোর শাস্তির দাবিও উঠেছে। তদন্ত শুরু করেছে হরিণঘাটা থানার পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে পরিবারের সদস্যদের। একইসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে হোটেলের কর্মচারিদেরও।
জুটিকার বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে। তিনি বিবাহিত। বাপের বাড়ি আমডাঙায়। পরিবারের লোকজন জানাচ্ছেন, শনিবার দুপুরে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল জুটিকা। এদিন সকালে পাওয়া যায় মৃত্যুর খবর। পরিবারের লোকজন এও জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন থেকেই তাঁদের বাড়িতে যাতায়াত ছিল অমিতের। তাঁদের মধ্যে ঝামেলাও হয়েছে। অমিত অত্যাচার করতো বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা। তাঁদের আশঙ্কা অমিতের কারণেই মৃত্যু হয়েছে তাঁদের মেয়ের। সে কারণেই অমিতের কঠোর শাস্তির দাবিও তুলেছেন। অন্যদিকে ইতিমধ্যেই জুটিকার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। রিপোর্ট হাতে এলে মৃত্যুর আসল কারণ অনেকটাই পরিষ্কার হবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।