
নদিয়া: হাঁসখালি গণধর্ষণ ও খুনের মামলায় তিন অভিযুক্তকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সাজা ঘোষণা হয়েছে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা ও তাঁর ছেলেরও। তবে এই রায়ে খুশি নন নির্যাতিতার মা। ফাঁসির সাজা হলে, তবেই শান্তি পেতেন তিনি। ২০২২ সালের ৪ এপ্রিল নদিয়ার হাঁসখালি থানা এলাকায় নাবালিকাকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে। পরে তাঁর মৃত্যু হলে দ্রুত শ্মশানে নিয়ে গিয়ে দাহ করে দেওয়া হয়। সেই ঘটনার সাজা ঘোষণা হল আজ মঙ্গলবার।
নির্যাতিতার মা বলেন, “কোর্টের এই রায়ে আমি খুশি নই। আমার মেয়ে হারিয়ে আমার বুকটা যে জ্বলেছে, ফাঁসির সাজা হলে একটু শীতল হত।” ১৪ বছরের ওই কিশোরীকে মদ খাইয়ে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছিল। প্রবল রক্তক্ষরণের জেরে তার মৃত্যু হয়, কিন্তু মৃত্যুর পর কোনও চিকিৎসকের শংসাপত্র ছাড়াই তড়িঘড়ি গ্রামের এক শ্মশানে দেহ দাহ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
তিন বছর আট মাস নয় দিন পর মঙ্গলবার ৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে রানাঘাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়। ২৩ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার দোষীদের সাজা ঘোষণা করা হয়। যার মধ্যে ব্রজ গয়ালি, রঞ্জিত মল্লিক, প্রভাকর পোদ্দারের আমৃত্যু কারাদণ্ড ঘোষণা করে আদালত। এছাড়াও পকসো আইনে ৬ জনের বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা করা হয়। অন্যদিকে একজন নাবালক থাকার কারণে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে এক বছরের জন্য খালাস করা হয়।
রাজ্য পুলিশ ২৮ জনের সাক্ষী প্রদানের মধ্যে দিয়ে নিষ্পত্তি করে এই মামলার। অভিযুক্তদের আইনজীবী জানিয়েছেন, তাঁরা উচ্চ আদালতে যাবেন। অন্যদিকে অভিযুক্তদের পরিবারের দাবি সঠিক বিচার পাওয়ার জন্য প্রায় সাড়ে তিন বছর আদালতের দরজার দরজায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন তাঁরা।