Krishnanagar Shootout: সীমান্ত ধরে পালানোর ছক! কীভাবে ইশিতা-খুনে ‘ব্যর্থ প্রেমিক’ দেশরাজকে ধরল পুলিশ?

Krishnanagar Student Killed: এরপর নীতীনের ফোন বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। হদিশ মেলে আরও একজনের। নাম কুলদীপ সিং। সম্পর্কে ইনি আবার দেশরাজের মামা। নীতীনের ফোন থেকে পাওয়া 'গোপন' তথ্য়ের ভিত্তিতে নদিয়া জেলার পুলিশের দল পৌঁছে যায় গুজরাটে। সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় 'ব্যর্থ প্রেমিকের' মামাকে।

Krishnanagar Shootout: সীমান্ত ধরে পালানোর ছক! কীভাবে ইশিতা-খুনে ব্যর্থ প্রেমিক দেশরাজকে ধরল পুলিশ?
বাঁদিকে নিহত ইশিতা মল্লিক, ডান দিকে অভিযুক্ত দেশরাজ সিংImage Credit source: নিজস্ব চিত্র

| Edited By: Avra Chattopadhyay

Sep 01, 2025 | 11:38 AM

নদিয়া: দিন সাতেক ধরে দেশরাজের সন্ধানে চিরুনি তল্লাশি চালিয়েছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। উত্তর প্রদেশ, গুজরাটের একাধিক জায়গায় চলেছে তল্লাশি। অবশেষে উত্তর প্রদেশ-নেপাল সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করা হল কৃষ্ণনগরের ছাত্রী খুনে একমাত্র অভিযুক্ত দেশরাজ সিংকে।

কীভাবে তার খোঁজ পেল পুলিশ? কীভাবেই বা ভিন দেশে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছিল দেশরাজ? সূত্রের খবর, এই গ্রেফতারিটা মোটেই সহজ ছিল না। তিনটি দলে বিভক্ত হয়ে উত্তরপ্রদেশে বেশ কয়েকদিন যাবৎ তল্লাশি চালিয়েছে নদিয়া জেলার পুলিশ। কিন্তু এত রাজ্য ছেড়ে উত্তর প্রদেশই কেন?

দু’টি বিষয় পুলিশকে আশা জুগিয়েছিল। এক দেশরাজের সিম ধরে পাওয়া শেষ ফোনের লোকেশন। দুই দেশরাজের পারিবারিক ঠিকানা। কৃষ্ণনগরের ছাত্রী ইশিতা মল্লিক খুনে মূল অভিযুক্ত দেশরাজের পরিবার উত্তর প্রদেশের মানুষ। তার একাধিক আত্মীয়স্বজন সেখানেই থাকেন। বাবা বিএসএফ জওয়ান। মায়ের সঙ্গে কাঁচরাপাড়াতেই একটি ভাড়া বাড়িতে থাকত দেশরাজ।

ঘটনার দিন সব কিছুই ছকে রেখেছিল সে। পুলিশ সূত্রে খবর, আগে থেকেই উত্তর প্রদেশ যাওয়া ট্রেনের টিকিট কেটে রেখেছিল অভিযুক্ত। অর্থাৎ প্রথমে ইশিতার বাড়িতে ঢুকে তাকে গুলি করে খুন। তারপর ট্রেন ধরে রাজ্যছাড়া। দেশরাজের ‘মাপা পথে’ তাকে ধাওয়া করে পুলিশের তিনটি দল। তারা পৌঁছে যায় দেশরাজের উত্তর প্রদেশের বাড়ি। কিন্তু ততক্ষণে সেই বাড়ি ছেড়ে দিয়েছিল অভিযুক্ত। কিন্তু দেশরাজকে পাওয়া না গেলেও মিলে যায় তার ভাই নীতীন প্রতাপ সিংকে।

এরপর নীতীনের ফোন বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। হদিশ মেলে আরও একজনের। নাম কুলদীপ সিং। সম্পর্কে ইনি আবার দেশরাজের মামা। নীতীনের ফোন থেকে পাওয়া ‘গোপন’ তথ্য়ের ভিত্তিতে নদিয়া জেলার পুলিশের দল পৌঁছে যায় গুজরাটে। সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় ‘ব্যর্থ প্রেমিকের’ মামাকে। তারপর তাকে দফায় দফায় জেরার পর খোঁজ মেলে দেশরাজের। তড়িঘড়ি নেমে পড়ে পুলিশ। নেপালে ঢোকার মুখেই সীমান্তে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, এই নেপালই যে অভিযুক্তের গা ঢাকা দেওয়ার জন্য শেষ ঠিকানা ছিল, এমনটা নয়। সেখান থেকে পালিয়ে অন্য কোথাও যাওয়ার পরিকল্পনা করছিল দেশরাজ।