কল্যাণী: ফের ভয়াবহ বিস্ফোরণ রাজ্যে। ভূপতিনগর, চম্পাহাটির স্মৃতি উস্কে ফের বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ। ঝলসে গেল গোটা কারখানা। নদিয়ার কল্যাণীর ঘটনা। শুক্রবার দুপুরে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এখনও পর্যন্ত চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। মৃতদের মধ্যে দু’জন মহিলা। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। একজন মহিলার অবস্থা আশঙ্কাজনক। কল্যাণী জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। মৃতরা সবাই ওই কারখানার কর্মী ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে।
কল্যাণী পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের রথতলার ঘটনা। ভূপতিনগর, ডায়মন্ড হারবারা, চম্পাহাটিতেও এর আগে একইভাবে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের জেরে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। তারপরও কোথায় সতর্কতা? আদৌ কি কোনও সাবধানতা অবলম্বন করা হয়? উঠছে প্রশ্ন। কীভাবে ঘটনাটি ঘটল, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
বাজি কারখানাগুলি নিয়ে রাজ্যে প্রশ্ন উঠেছে বারবার। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অভিযোগ উঠেছে, অবৈধভাবে চলে বাজি কারখানা। ঘন বসতিপূর্ণ এলাকায় এই সব কারখানা নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েও লাভ হয়নি খুব একটা। পুলিশ-প্রশাসনের নাকের ডগায় এই ধরনের কর্মকাণ্ড চলে বলেও অভিযোগ উঠেছে। রাজ্য সরকারের তরফেও এই বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। এবার কল্যাণীর কারখানা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুব্রত চক্রবর্তীর দাবি, এমন কোনও কারখানার কথা জানাই ছিল না তাঁর। এদিন বিস্ফোরণ হওয়ার পর জানতে পারলেন সবটা। তবে তিনি বলছেন, ‘এটা কোনও কারখানা নয়। একটা বাড়ির মধ্যে চলছিল।’ স্থানীয় বিধায়ক অম্বিকা রায়ের বক্তব্য, পুলিশ সব জেনেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। বিধায়ক বলেন, “এরকম কিছু ঘটনা ঘটলে, তখন পুলিশ ব্যবস্থা করে। সবটাই জানত পুলিশ। ভগবানের ভরসা আছি। আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই।”
উল্লেখ্য, গত ২০২৩-এ খাদিকুলে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ১২ জনের। ওই বছরেই বজবজে একইভাবে তিনজনের মৃত্যু হয়, ইংরেজবাজারে মৃত্যু হয় দুজনের, নীলগঞ্জে ৯ জনের মৃত্যু হয়। তারপরও কি টনক নড়ল না প্রশাসনের?