
নদিয়া: চাকদায় বেসরকারি ব্যাঙ্কে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার ৩ অভিযুক্ত। ব্যাঙ্কের এক কর্মীর নেতৃত্বেই চলেছিল এই ডাকাতের ঘটনা। পুলিশের তদন্তে উঠে এল এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। ধৃতদের রবিবার কল্যাণী মহকুমার আদালতে তোলা হয়। বাকিদের পুলিশ হেফাজতের আবেদন করে পুলিশ। অভিযুক্তদের হেফাজতে নিয়ে বাকিদের খোঁজে সন্ধান চালানো হবে বলে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান রানাঘাট জেলা পুলিশ সুপার।
গত ১৯ অগস্ট নদিয়ার চাকদহ বনগাঁ রোডে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে ১৫ কেজি ৬০০ সোনা ডাকাতি করে দুই দুষ্কৃতী। পুলিশি তদন্তে নেমে রাস্তার সমস্ত সিসিটিভি ক্যামেরা খোঁজ করে একটি মোটর বাইকের খোঁজ পায়। সেই তদন্ত ধরে তিন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করবে চাকদহ থানার পুলিশ। ধৃতদের তিনজনের বাড়ি চাকদাহ থানা এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তদের নাম রাজ্জাক মণ্ডল, সাহেব মণ্ডল, উত্তর পাঁচপোতা, মহসিন মণ্ড। তাঁদের বাড়ি রাউতারি। ধৃতদের দশদিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়ে রবিবার কল্যাণী মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়েছে। এরপর ধৃতদের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে লুঠ হওয়া সোনা উদ্ধারের ও পাশাপাশি এই ঘটনা যুক্ত থাকা বাকিদের সন্ধানে তদন্ত চালানো হবে বলে জানিয়েছে রানাঘাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার আশীস মৌয্য।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৯ অগস্ট রানাঘাটে সোনার গয়নার শোরুমে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার ১৪৯ দিনের মাথায় দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। ডাকাতির ঘটনায় মূল অভিযুক্ত কুন্দন কুমার যাদব, রাজু কুমার পাসোয়ান, ছোট্টু পাসোয়ান ও রিক্কি পাসোয়ানকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। আরেক অভিযুক্ত মণিকান্ত যাদবের কলকাতার হাসপাতালে মৃত্যু হয়। সকলেই বিহারের বাসিন্দা। তারপর এবার চাকদহে এমন ঘটনা।