
নদিয়া: কল্যাণীর গণধর্ষণের ঘটনায় ৭ জনের ২০ বছর সাজা ঘোষণা করল কল্যাণী এডিজে আদালত। সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা। অপর একজন বেকসুর রাহুল রায় (অমিত), তিনি কাচরাপাড়ার বাসিন্দা। দোষীরাও কল্যাণীরই বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। গত বছর ঠিক তিলোত্তমাকাণ্ডের পরপরই এই ঘটনা সাড়া ফেলেছিল বাংলায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২৪ সালের ৩০ অক্টোবর।সেদিন ভোরে নদিয়ার কল্যাণী থানার কল্যাণী-বারাকপুর এক্সপ্রেসওয়ের কল্যাণী রেল ব্রিজের নিচের রাস্তা দিয়ে স্বামীর সঙ্গে হেঁটে যাচ্ছিলেন নির্যাতিতা। তাঁরা ভোরে ট্রেন ধরতে যাচ্ছিলেন। লাইনের ধারে জঙ্গল ছিল। সেই জঙ্গলের মাঝে বসে মদ্যপান করছিল দোষীরা।
স্বামীর সামনে থেকেই সেই ভোরে জোর করে নির্যাতিতাকে টেনে নিয়ে যায় দোষীরা। স্বামীকে আটকে রেখে চলে তার ওপর অত্যাচার। কল্যাণী থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তৎপরতার সঙ্গে ৮ জনকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। ট্রায়ালের ৭ মাসের মধ্যে আজ দোষী সাব্যস্ত করল কল্যাণী এডিজে আদালত।
যেহেতু আরজি কর কাণ্ডের পরপরই এই ঘটনা ঘটেছিল, তাই ফের রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে চর্চা শুরু হয়। কীভাবে স্বামীর সামনেই স্ত্রীকে নির্যাতিত হতে হল, প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। পুলিশ এক্ষেত্রে অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে পদক্ষেপ করে।