তেহট্ট: ভোট মিটেছে বেশ কিছু দিন হল। বোর্ড গঠন হয়ে গিয়েছে। পুরোদমে শুরু হয়ে গিয়েছে লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি। এরইমধ্যে এবার পঞ্চায়েতের টিকিট বণ্টন নিয়ে রাখঢাক না রেখেই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহা। স্পষ্ট বললেন, টিকিট বন্টনের ক্ষেত্রে বিধায়কদের কাছ থেকে যে তালিকা চাওয়া হয়েছিল সেই তালিকা অনুযায়ী প্রার্থী দেওয়া হয়নি। তাঁর কথা মেনেও নিলেন নাকাশিপাড়ার বিধায়ক কল্লোল খাঁ। ক্রটি-বিচ্যুতি যে হয়েছিল তা মানলেন তিনিও।
প্রসঙ্গত, এদিন কৃষ্ণনগর রবীন্দ্রভবনে কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিজয়া সম্মেলনীর আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট বণ্টন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় তাপস সাহাকে। বলেন, “আমরা একাধিকবার জেলা নেতৃত্বের কাছে লিস্টটা জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু, দেখা গেল যাদের সুপারিশ করা হয়েছিল তাঁদের মধ্যে ৯০ শতাংশ বাদ গিয়েছে। রাতারাতি ৯০ শতাংশ নতুন নাম দেওয়া হল। যখন কল্লোলদাকে বলতে গেলাম উনি বললেন এটা ঠিক হয়নি। আমার প্রশ্ন তাহলে আমাদের মূল্যটা কোথায় থাকল। আমি একজন বিধায়ক হিসাবে লিস্ট করে জমা দিলাম, অথচ টিকিট পেয়ে গেল অন্য কেউ।”
খানিক অস্বস্তির মধ্য়ে পড়ে নাকাশিপাড়ার বিধায়ক কল্লোল খাঁ বলেন, “উনি হয়তো আবেগ থেকে এটা বলেছেন। আমরা সংগঠন থেকে অনুরোধ করেছি ব্যাপারটা ঘরে বসে বিশ্লেষণ করার।” তবে সমস্যা যে হয়েছে তাও মানলেন তিনি। বললেন, “কিছুটা ক্রুটি-বিচ্যুতি তো নিশ্চয় হয়েছে। সেই সময় সার্বিকভাবে সমস্ত দায়িত্ব সেই এলাকার কর্মীদের উপর ছিল। রাজ্য নেতৃত্ব তা অনুমোদন দিয়েছিল। ভিতরে ভুল বোঝাবুঝির জন্য কিছু একটা হয়েছে। তবে টিকিট বিক্রি হয়েছে কিনা আমার জানা নেই। তবে আমি মনে করি তাপস সংগঠনের স্বার্থে সমস্ত কিছু ভুলে এলাকায় সংগঠনের মজবুত করার কাজ করে যাবেন।”
তবে তাপসের কথা মানতে নারাজ কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান তথা কালীগঞ্জের বিধায়ক নাসির উদ্দিন আহমেদ। খানিক খোঁচা দিয়েই তিনি বলেন, “দল করতে গেলে দল কী চাইছে সেটা সবার আগে বুঝতে হবে।”