
নদিয়া: ছাত্র খুনের ঘটনায় সাত জনের বিরুদ্ধে লিখিতে অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। তার মধ্যে মূল দুই অভিযুক্ত ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। অপর এক জন গণপিটুনিতে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। বাকি চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের পুলিশ হেফাজত আবেদন করে তেহট্ট কুমার আদালতে পেশ করে পুলিশ।ছাত্র খুনের পর পরিবার প্রথমে অপহরণের অভিযোগ জানায় থানায়। এরপর খুন ও প্রমান লোপাটের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গ্রেফতার করে চার জনকে।
এই ঘটনায় অপহরণ করে হত্যা করা প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ করে পরিবার এবং অভিযুক্ত পরিবারের সাত জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করে, যার মধ্যে মূল অভিযুক্ত উৎপল মন্ডলের ছোট ছেলে ছোট্টু মন্ডল , ছোট বউ মা সুপ্রিয়া ভৌমিক। মামা কার্তিক মন্ডল ও মামি সুচিত্রা মন্ডল কে গ্রেফতার করে পুলিশ।
শিশু খুনের ঘটনার পর অভিযুক্ত দম্পতিকে গণপিটুনি জেরে মৃত্যুর ঘটনায় প্রায় ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে শুনশান এলাকা। আতঙ্কে গ্রামের মানুষ, অধিকাংশই মানুষ আত্মগোপন করে রয়েছেন। গোটা এলাকা থমথমে বন্ধ রয়েছে দোকানপাট। ভয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না কেউই। এলাকায় রাস্তাঘাট ফাঁকা। গা ছমছমে এক আতঙ্ক পরিবেশ এখন নিশ্চিন্তপুর গ্রামে।
নদিয়ার তেহট্টের ৯ বছরের বালক খুনের ঘটনার পর গণপিটুনিতে মৃত্যু হয় মূল অভিযুক্ত উৎপল মন্ডল এবং সোমার। আশঙ্কা জনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন বৌমা নিশা মন্ডল। সেই ঘটনার পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিতভাবে ২০০ জনেরও বেশি ব্যক্তির নামে মামলা রুজু করে।
শনিবার সকালে পুকুর থেকে ওই নাবালকের ত্রিপলে মোড়া দেহ উদ্ধারের পরই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলে চড়াও হন স্থানীয় বাসিন্দারা। বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সেইসময়ই বেধড়ক মারধরে অভিযুক্ত প্রতিবেশী এবং আরও একজনের মৃত্যু হয়। উত্তম মণ্ডলের বিরুদ্ধে তাঁদের অভিযোগ, এর আগে অভিযুক্ত ব্যক্তি কয়েকজন স্কুলছাত্রকে পাচারের চেষ্টা করেছিলেন। তাদের নিয়ে পলাশী চলে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে ধরা পড়েন। এবার স্বর্ণাভকে পাচারের ছক ছিল বলে অভিযোগ।