নদিয়া: সেলুনে কাজের সময় দুষ্কৃতীদের কোপ। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করলে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে ছেলের হাতের কাটা আঙুল পড়েছিল রাস্তায়। সেই আঙুল তুলে কাপড়ের আঁচলে বেঁধে হাসপাতালে পৌঁছলেন মা।
আহত ব্যক্তির নাম মিহির বিশ্বাস। তিনি সেলুন ব্যবসায়ী। অভিযোগ, মিহিরবাবু সেলুনের মধ্যে যখন কাজ করছিলেন সেই সময় হঠাৎই আরমান তরফদার নাম এক ব্যক্তি তাঁর উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। কোপের হাত থেকে রেহাই পেতে তিনি তখন পালাবার চেষ্টা করেন। রাস্তার উপরেই তিনি পড়ে যায়। সেখানেও তাঁকে অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপায় বলে অভিযোগ। এরপর তাঁর চিৎকারে এলাকার মানুষ ছুটে আসেন সেখানে। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে কল্যাণী জহরলাল নেহেরু মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এখন আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন। এই ঘটনার পর অভিযুক্ত পালাবার সময় স্থানীয় জনতা ধরে ফেলে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
পুলিশ অভিযুক্তকে কল্যাণী জওহরলাল নেহেরু মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করে। কেন তাঁকে খুনের চেষ্টা করা হল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।আহতের মা বলেন, “ও কাজ করছিল। সেই সময় ধারাল অস্ত্র দিয়ে ওকে মারধর করছিল। হাতের আঙুল কেটে যায়। আমি কী করব বুঝতে না পেরে ওই আঙুল কুড়িয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাই।”