Nadia: পুলিশের জালে গ্রেফতার ১২ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী
Nadia: পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বাংলাদেশিরা গত ৩-৪ বছর আগে ভারতের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে। এরপর পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেন তাঁরা। তারপর ভারতীয় দালালদের সাহায্যে আবারও অবৈধভাবে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার জন্য নদিয়ার হাঁসখালি থানা এলাকায় প্রবেশ করে।

নদিয়া: আবারও বিশেষ অভিযান চালিয়ে পুলিশের জালে গ্রেফতার ১২ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। ভারতীয় ভূখণ্ডে অবৈধ ভাবে অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে আবারও অভিযান জেলা পুলিশের। এবার একই সঙ্গে পুলিশের জালে গ্রেফতার ১২ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী-সহ দুই শিশু। ধৃতদের বিরুদ্ধে বেআইনি অনুপ্রবেশের মামলা রুজু করে বুধবার তাঁদের নদিয়ার রানাঘাট মহকুমার আদালতে পেশ করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বাংলাদেশিরা গত ৩-৪ বছর আগে ভারতের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে। এরপর পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেন তাঁরা। তারপর ভারতীয় দালালদের সাহায্যে আবারও অবৈধভাবে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার জন্য নদিয়ার হাঁসখালি থানা এলাকায় প্রবেশ করে। সেই খবর পুলিশ যখন জানতে পারে হাঁসখালি থানার পুলিশের একটি বিশেষ টিম ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে ওই ১২ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করে।
অন্যদিকে যে সমস্ত ভারতীয় দালাল অনুপ্রবেশকারীদের সাহায্য করেছিলেন, তাঁদের ধরতে পুলিশের তরফ থেকে চলছে অভিযান। সম্প্রতি বিগত কয়েক মাসে অনুপ্রবেশকারীর গ্রেফতারের সংখ্যা প্রায় ৪০০, তবুও বেড়েই চলেছে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ। সীমান্তে বিএসএফের নজরদারি নিয়ে বারংবার প্রশ্ন তুলছে রাজ্য সরকার-সহ সীমান্তবর্তী এলাকার বসবাসকারী মানুষ, কীভাবে ঘটছে এইভাবে অনুপ্রবেশ।
জেলা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, যতই বিএসএফের নজরদারি এড়িয়ে বাংলাদেশিরা অনুপ্রবেশ করুক না কেন, কাউকেই রেয়াত করা হবে না, লাগাতার অভিযান চালিয়ে প্রত্যেককে গ্রেফতার করা হবে, শুধু তাই নয়, যে সমস্ত ভারতীয় দালাল অনুপ্রবেশকারীদের মদত দিচ্ছে তাঁদেরকেও বেছে বেছে গ্রেফতার করা হবে। ইতিমধ্যে পাকিস্তানকে পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা, নদিয়ার ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে বিএসএফের বাড়তি নজরদারি।
অন্যদিকে জেলা পুলিশের তরফ থেকেও সীমান্তবর্তী সংলগ্ন থানা এলাকাগুলিতেও নজরদারি চালাচ্ছে জেলা পুলিশ। এখন দেখার এমত পরিস্থিতিতে অনুপ্রবেশ রুখতে আরও কী পদক্ষেপ নেয় বিএসএফ ও জেলা পুলিশের তরফ থেকে।
