নদিয়া: তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় দখলকে কেন্দ্র করে বচসা। আর তা গড়ায় হাতাহাতিতে। সেই অশান্তি থেকে এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজির অভিযোগ। ঘটনায় দু’পক্ষের ৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর। স্থানীয় বাসিন্দারাই আক্রান্তদের উদ্ধার করে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার রাতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কল্যানী ব্লকের সগুনা পঞ্চায়েতের কাটাবেল অঞ্চল। বিড়ম্বনায় শাসকদল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এভাবে বোমাবাজির ঘটনায় আতঙ্কিত সগুনা অঞ্চলের বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, এলাকায় ক্ষমতা দখলকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে চাপা উত্তেজনা ছিল। দলীয় কার্যালয়ে বসাকে কেন্দ্র করে তা আবারও প্রকট হয়ে ওঠে। বুধবার সন্ধ্যায় দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। দু’পক্ষের সদস্যরাই এলাকার তৃণমূল কর্মী সমর্থক। জানা যাচ্ছে, বচসা চলতে চলতে তা হাতাহাতিতে গড়ায়। তারপর শুরু হয় এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি।আক্রান্ত হন দু’পক্ষের কয়েকজন। বোমাবাজিতে তাঁরা রক্তাক্ত হয়েছেন।
খবরপেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কল্যাণী থানার পুলিশ। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। তবে এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি তারক চন্দ্র। তিনি রাতেই হাসপাতালে গিয়ে আক্রান্ত কর্মীদের খোঁজ নেন। তিনি বলেন, “নিজেদের মধ্যেকার কিছু সমস্যা। মিটিয়ে ফেলা হবে। কারা করেছে, কী হয়েছে, সবটা খোঁজ নিচ্ছি।”
এই ঘটনায় খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপি নেতা শুভাশিস বিশ্বাস বলেন, “সগুনা অঞ্চলেই শুধু তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল নয়, সারা রাজ্য জুড়ে চলছে অশান্তি। এর থেকে মুক্তি চাইছে রাজ্যের মানুষ।”
পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট এখনও ঘোষণা হয়নি। তার আগেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত বোমাবাজিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। এখনও থমথমে এলাকা। আতঙ্কিত রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।