
নদিয়া: স্ত্রীকে বাঁটি দিয়ে মুন্ডু ছেদ করে নিজেই থানায় এসে আত্মসমর্পণ অভিযুক্ত স্বামী। TV নাইন বাংলায় এক্সক্লুসিভ চাঞ্চল্যকর খুনের ঘটনার স্বীকারোক্তি অভিযুক্তের।
মোবাইলের মাধ্যমে জুয়া খেলে লক্ষ লক্ষ টাকা সর্বস্বান্ত। বিভিন্ন জায়গায় ঋণ করে ফেলে মানসিক বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। এই ঘটনা জেরে পরিবারের শুরু হয়ে ছিল অশান্তি।। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য শান্তিপুর থানার পুটোপুটি তলায়। ধারাল অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীর ধর থেকে মুন্ডু আলাদা করে থানায় আত্মসমর্পণ স্বামীর। অভিযুক্তকে আজ রানাঘাট আদালতে পাঠায় পুলিশ।
বাড়ির বাঁটি দিয়ে স্ত্রীর ধর থেকে মাথা আলাদা করে থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ অভিযুক্ত স্বামীর। নৃশংস খুনের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য নদিয়ার শান্তিপুরে। মঙ্গলবার রাতে শান্তিপুরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পুটোপুটি তলা এলাকার ঘটনা। স্বামী বুদ্ধদেব সরকার, স্ত্রী শ্রাবণী সরকার। মেয়ে দশম শ্রেণির ছাত্রী জলি সরকার।
একমাত্র মেয়ের অভিযোগ, বাবা বুদ্ধদেব প্রায় মায়ের সঙ্গে অশান্তি করত, এছাড়াও আইপিএল খেলা সহ বিভিন্ন গেম খেলাই আসক্ত ছিল বাবা। এই জুয়া খেলার মাধ্যমে সে প্রায় ১৫ লক্ষ এর ও বেশি টাকা সর্বস্বান্ত হয়। সেই নিয়ে প্রতিবাদ করত মা। মঙ্গলবার রাত্রি আটটা নাগাদ টিউশন সেরে বাড়ি ফিরে দেখে ঘরের মধ্যে পড়ে রয়েছে, আস বটি। খাটের নিচে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে মায়ের ধর থেকে মুন্ডু আলাদা দেহ। মেয়ের চিৎকারে ছুটে যান স্থানীয় বাসিন্দারা।
পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে যায় শান্তিপুর থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় হাসপাতালে। অন্যদিকে স্ত্রীকে নৃশংসভাবে খুন করে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে অভিযুক্ত বুদ্ধদেব সরকার। মেয়ে জলি সরকারের এখন একটাই দাবি, মাকে যেভাবে নৃশংসভাবে খুন করেছে বাবা তার জন্য বাবার যাতে ফাঁসি হয় সেই ব্যবস্থা করুক পুলিশ প্রশাসন। ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছয় রানাঘাট পুলিশ জেলার এসডিপিও সহ পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা, এরপর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে কীভাবে এই খুনের ঘটনা ঘটল, তা জানার চেষ্টা করে।
তবে গোটা পরিবারের এখন একটাই দাবি অভিযুক্তের ফাঁসি চাই। যদিও খুনের রহস্য উদঘাটন করতে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ। অভিযুক্তকে আজ রানাঘাট মহাকুমার আদালতে পাঠায় পুলিশ।